ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এখনো ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য জানা না গেলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক। আম্পানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা। তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড কলকাতায়ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এর আগে, কোনও ঘূর্ণিঝড়ই এতো শক্তিশালী অবস্থায় কলকাতায় প্রভাব ফেলেনি, যতটা তাণ্ডব চালালো আম্পান। শহরের অধিকাংশ রাস্তায়ই গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু ভবন। আম্পানে ভেঙে পড়েছে সচিবালয় নবান্নের একাংশ, যেখানে বুধবার সারারাতই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে ২০০৯ সালেও ৯০ কিলোমিটার বেগে আয়লা আঘাত হানলেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় কলকাতা নগরীর। তবে এবার আরো বেশি।
এখনো মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা জানা গেলেও, আম্পান বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে বলে শঙ্কা রাজ্য সরকারের। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ৪১ টি দল পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যায় দুর্যোগ মোকাবেলায় কাজ করছে। আপাতত, আশ্রয়শিবির থেকে ঘরে না ফিরতে বলা হয়েছে দুর্গতদের।
বুধবার বিকেলে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়টি প্রথমে আঘাত হানে পশ্চিববঙ্গ উপকূলীয় এলাকায়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই স্থলভাগে এসে প্রথমে উত্তর ও দক্ষিণ দুই ২৪ পরগণায় তাণ্ডব চালায়। উপকূলীয় ও গ্রামীণ এলাকায় গুঁড়িয়ে দেয় বহু বাড়িঘর। গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে অধিকাংশ এলাকাতেই বিচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। বৃহস্পতিবার গোটা রাজ্যেই ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়, প্রতিবেশী উড়িষ্যার উপকূলীয় এলাকাতেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আম্পানের আঘাতে। বেশ কয়েকটি শহর ও গ্রামাঞ্চলে বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে । বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় বেশ কিছু এলাকা। কোথাও কোথাও ভেঙে গেছে বাঁধ, সেতু।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আম্পানে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে দুই ২৪ পরগণা। পুরো রাজ্য আবারো পুনর্গঠন করতে তাই চাইলেন কেন্দ্রের সহায়তা। মমতা আরো বলেন, চলমান করোনা সংকটের চেয়ে ভয়াবহ প্রভাব ফেলেছে আম্পান