ঢাকা অফিস : জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতের দেয়া অর্থদণ্ড ও সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ স্থগিত করা হয়েছে। তবে, এই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন মঞ্জুর হয়নি। পাশাপাশি দণ্ড বাতিল ও খালাস চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আপিল, শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে হাইকোর্ট। এ জন্য দুই মাসের মধ্যে মামলার নথি চেয়ে আদালত বলেছেন, নথি পাওয়ার পর জামিনের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে।
আজ মঙ্গলবার, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং বিচারপতি এস এম কুদ্দুছ জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদিন। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
গত ১৮ই নভেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে আপিল আবেদন করেন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার জয়নুল আবেদিন জানান, ‘আদালত প্রাথমিক অবস্থায় আমাদের বক্তব্য শুনে আপিলটি গ্রহণ করেছেন। যেহেতু আরেকটি মামলায় তিনি পাঁচ বছর থেকে দশ বছরে আছেন, সেক্ষেত্রে তাকে জামিন দিলেও হয়তো তিনি বের হতে পারবেন না। আমরা বলেছি যে, ওটা একটি ভিন্ন জিনিস, ভিন্ন মামলা। ওই মামলার সাথে এটা একীভূত করা যাবে না।’
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, ‘আদালত বলেছে উনার ইতোমধ্যে একটি মামলায় সাজা পাঁচ বছর থেকে বৃদ্ধি পেয়ে দশ বছর হয়েছে এবং সেটা মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ঝুলে আছে। কাজেই এই পর্যায়ে রেকর্ড আসলে তখন আমরা বিবেচনা করব।’
গত বছরের ২৬শে নভেম্বর নিম্ন আদালতের সাত বছরের সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি জমা দেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। এর আগে একই বছর ২৯শে অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। এছাড়া ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৮ই ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানা করা হয়। একইসঙ্গে তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে দুই কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করে রায় ঘোষণা করেন বিচারিক আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়। পরে আপিলে এই মামলায় খালেদা জিয়ার ১০ বছর কারাদণ্ড হয়।