রবিউল ইসলাম মিটু, যশোর : বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ঝিনাইদহন্ড২ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সভাপতি মসিউর রহমানকে দুই ধারায় ১০ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন যশোরের স্পেশাল জজ আদালত। একইসঙ্গে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা ও দশ কোটি পাঁচ লাখ ৬৯ হাজার ৩৩০ টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার বেলা ১১টার দিকে স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক নিতাইচন্দ্র সাহা এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণা শেষে দন্ডিত মসিউর রহমানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
সরকারপরে আইনজীবী দুদকের পিপি সিরাজুল ইসলাম জানান, ২০০৮ সালের ৫ জুন মসিউর রহমান দুদকে তার সম্পদ বিবরণী জমা দেন। প্রাথমিক তদন্তে সম্পদ গোপন ও জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়ায় তার নামে ঝিনাইদহ সদর থানায় ওই বছর ১৪ ডিসেম্বর মামলা করেন। এরপর দুদক যশোরের উপরন্ডপরিচালক নাসির উদ্দিন তদন্তে ১০ কোটি ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৩৩০ টাকার সম্পদ গোপন ও জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পান এবং মসিউর রহমানের নামে ২০০৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর চার্জশিট দাখিল করেন।
দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে আজ বিচারক দুর্নীতি দমন আইনের ২৬/২ ধারায় ৩ বছর কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ২৭/১ ধারায় ৭ বছর ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার সাজা দেন। এছাড়া অর্জিত ১০ কোটি ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৩৩০ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন।রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদীপ।
অপরদিকে, ঝিনাইদহ বিএনপি রায় প্রত্যাখান করেছেন এবং রায়ের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঝিনাইদহে হরতাল আহ্বান করেছে।