ঝিনাইদহ : সরকারি পৃষ্টপোষকতা, ড্রেনেজ, বিদ্যুতসহ নানা সমস্যার কারণে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে ঝিনাইদহ বিসিক শিল্প নগরী। অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অবকাঠামোগত সুবিধা না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন কার্যক্রম। গড়ে উঠছে না বড় কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান। জানা যায়, ‘ঘরে ঘরে শিল্প গড়, দেশকে কর স্বনির্ভর’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে ১৯৮৮ সালে ঝিনাইদহ শহরের ধানহাড়িয়া গ্রামে ১৫.৭০ একর জমিতে যাত্রা শুরু করে ঝিনাইদহ বিসিক শিল্প নগরী। এ শিল্প নগরীর ৯৮ টি প্লটে বরাদ্দ দেয়া হয়। ভুমি উন্নয়ন কর ও সার্ভিস চার্জ বৃদ্ধি, ব্যাংক ঋণের অভাবসহ নানা সমস্যার কারণে গড়ে ওঠেনি বড় কোন শিল্প কারখানা। বিদ্যুৎসহ নানা সমস্যার কারণে বেশ কয়েকটি কারখানা ইতিমধ্যে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আর চালু কারখানাগুলো চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। ভাঙ্গা রাস্তা, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকা, ব্যবহার অনুপযোগী পানি সরবরাহ করার কারণে ব্যহত হচ্ছে উৎপাদন। ঝিনাইদহ বিসিক শিল্প নগরী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন জুলিয়াস জানান, বিসিকের সবচেয়ে বড় সমস্যা বিদ্যুৎ। নিরবিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদন ব্যবস্থা। এছাড়াও সরকারি, বেসরকারি কোন ব্যাংক থেকে ক্ষুদ্র শিল্পের মালিকরা ঋণ পায় না। এতে ব্যহত হচ্ছে উৎপাদন। বিসিক শিল্প নগরী মালিক সমিতির সভাপতি আকরাম হোসেন বলেন, বিসিক এলাকায় যে রাস্তা রয়েছে তা চলাচলের অনুপযোগী। রাস্তায় বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিল্প মালিক, শ্রমিকসহ যানবাহন চালকদের। ড্রেনেজ ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে বিসিকের এলাকার বাতাস সব সময় দুর্গন্ধযুক্ত থাকে। প্রতিষ্ঠানের বর্জ ড্রেন ভরাট করে রাখে। পানি সহজে নামতে পারে না। ময়লা আবর্জনা জমাট হয়ে বিষাক্ত দুর্গন্ধে এলাকার বাতাস ভারি করে তুলেছে। এ সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ না থাকায় প্রতিষ্ঠান আর বাড়াতে চান না তিনি। বিসিকের উপ-ব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) সেলিনা রহমান এ ব্যাপারে বলেন, বিদ্যুতের সমস্যা কিছুটা সমাধান হয়েছে। অন্যান্য যেসব সমস্যা রয়েছে তা দ্রুতই সমাধান করা হবে।