খুবিতে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কটকা ট্রাজেডি স্মরণে শোক দিবস পালিত

প্রকাশঃ ২০২১-০৩-১৩ - ২০:৫৮

খুবি প্রতিবেদক:
কটকা ট্রাজেডি স্মরণে আজ শনিবার পালিত হয় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস। ২০০৪ সালের এ দিনে সুন্দরবনের কটকায় সফরে গিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের ৯ জন এবং বুয়েটের ২ জনসহ মোট ১১ জন ছাত্র-ছাত্রী সমুদ্রগর্ভে নিমজ্জিত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। সেই থেকে প্রতিবছর দিনটিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

কটকা ট্রাজেডি স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে সাজানো হয় শোকাবহ সাজে। ক্যাম্পাসের হাদী চত্বর থেকে কটকা স্মৃতিস্তম্ভ পর্যন্ত সড়কের দু’পাশের সারিবদ্ধ গাছে কালো কাপড় জড়িয়ে শোকের আবহ তৈরি করা হয়।

সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদী চত্বর থেকে একটি শোকর‌্যালি শুরু হয়ে কটকা স্মৃতি স্তম্ভে গিয়ে শেষ হয়। শোকর‌্যালিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের ডিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধান, ছাত্রবিষয়ক পরিচালক, প্রভোস্ট ও বিভাগীয় প্রধানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারিরা অংশ নেন। এরপর কটকা স্মৃতিস্তম্ভে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রথমে উপাচার্যের পক্ষে ট্রেজারার শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। পরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপত্য ডিসিপ্লিন, ইংরেজি ডিসিপ্লিন, শিক্ষক সমিতি, অ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। এছাড়া সমুদ্রগর্ভে নিমজ্জিত শাহাদতবরণকারী শিক্ষার্থীদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। অতঃপর ডিসিপ্লিন প্রধান ও সংশ্লিষ্ট কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ মাহফুজ উদ-দারাইনের সভাপতিত্বে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ তার বক্তব্যে বলেন, ২০০৪ সালের এদিনে আমরা যাদের হারিয়ে ছিলাম তারা ছিলেন অত্যন্ত প্রতিভাবান, সম্ভাবনাময় তারুণ্য। দেশ ও জাতির জন্য তারা ছিলেন প্রতিশ্রুতিশীল। তাদের মৃত্যুতে যে ক্ষতি হয়েছে তা আর কোনদিন পরিপূরণ হবে না। আমরা স্বজন হারানো বেদনার স্মৃতি বহন করে চলেছি। আজ আমরা তাদের বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যদের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

স্মরণসভা শেষে শাহাদতবরণকারী শিক্ষার্থীদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাও. মুফতি আব্দুল কুদ্দুস।