রোস্টার বাণিজ্যের মাধ্যমে অবৈধ আয়
ইউনিক ডেস্ক : খুমেক হাসপাতালের ডেপুটি নার্সিং সুপার রোকেয়া তার দুর্নীতির খতিয়ান চাপা দিতে সহকর্মীদের নিয়ে দৌড়-ঝাপ শুরু করেছেন। গতকাল সন্ধ্যায় ওই টিম নগরীর বেশ কয়েকটি পত্রিকা অফিসে যেয়ে নিজেদের ধুয়াতুলসী প্রমাণের চেষ্টা চালায়। এদিকে একের পর এক দুর্নীতির মাধ্যমে আয় করা অর্থের খোঁজ নিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তথ্য সংগ্রহে নেমেছে বলে জানা গেছে।
অভিযোগ উঠেছে যেখানেই টাকার গন্ধ সেখানেই রোকেয়া তার দোসর হোসনেয়ারাকে প্রতিনিধি হিসেবে মনোনয়ন দেন। আবার এই হোসনেয়ারাকে দিয়েই ঢাকা নার্সিং অধিদপ্তর ম্যানেজ করেন রোকেয়া। এই হোসনেয়ারার কিছুই কেউ করতে পারবে না, এমন কথার প্রচলন আছে হাসপাতালে। বেশ কয়েকজন নার্সিং কর্মকর্তা বলেন, সাংবাদিকসহ সব মহলেই হোসনেয়ারার যোগাযোগ দারুন যোগাযোগ রয়েছে। আর এই হোসনেয়ারার মদদেই চলেন রোকেয়া। তারই উস্কানিতে জুতা পায়ে জাতির পিতার বেদীতে ওঠা, করোনার প্রণোদনার টাকা নিতে ঘুষ নেয়ার মতো কাজে লিপ্ত হয়েছিলেন রোকেয়া।
বিভিন্ন সময় নার্সিং কর্মকর্তাদের সমস্যায় ফেলে তাদেরকে অর্থের বিনিময়ে সমস্যা থেকে পরিত্রাণ করেন তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নার্স জানান, মাসিক মাসোহারার বিনিময়ে তিনি ইনচার্জদের সুবিধা দিয়ে থাকেন। একটিং সুপারভাইজার নামক ২০ জনের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে তাদের অফিসেই বসিয়ে রেখেছেন নার্সিং অধিদপ্তরের নির্দেশ উপেক্ষা করে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে ওই ২০ জন এক্টিং সুপারভাইজারদের নামের পাশ থেকে এক্টিং সুপারভাইজার শুধু উঠিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু তাদেরকে রোস্টার করে ওয়ার্ডে ভাগ করে দেননি। তারা এখনো অফিসে বসেই রোকেয়ার তাবিদারি করে বেড়াচ্ছেন। তাদেরও নাইট ডিউটি দেয়ার বিষয়ে রোকেয়া করছেন বৈষম্য। তারা সুপারভাইজার না হওয়া সত্তেও তাদের দিয়ে বিভিন্ন সময়ে সুপারভাইজার হিসেবে নাইট ডিউটি করিয়েছেন।
পূর্বের পরিচালক মুন্সি রেজা সেকেন্দারের জারী করা এক চিঠিতে উল্লেখ করেন, ইনচার্জরা নাইট করবে না। এই আদেশ বহাল থাকা সত্ত্বেও তিনি জোর করে তার অপছন্দের ব্যাস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ডের ইনচার্জদের নাইট করাতে বাধ্য করেন। আবার তার পছন্দের নার্সদের নাইট ডিউটি দেন না। তাছাড়া নাইট ডিউটির সময়েও রয়েছে বৈষম্য। তার পছন্দের বা মনোনীত নার্সরা নাইট ডিউটি করেন ৪৫ দিন পরপর। পক্ষান্তরে অন্যদের দিয়ে তিনি ২১ দিন পরপর নাইট ডিউটি করান। যা নিয়ে সাধারন নার্সদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এই বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলেই তিনি বলেন, আমি কাউকে কোন প্রকার কৈফিয়ত দিব না। আমি যেটাই করব সেইটাই ঠিক। আমি এখানকার সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী।