খুমেক হাসপাতালের রোগী বাইরে ভাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশঃ ২০১৮-০২-১১ - ১০:৩৫

খুলনা : খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক স্টাফ এর বিরুদ্ধে রোগীকে বাইরে প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেখানে ভালো চিকিৎসার নামে মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করে পুনরায় খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ এ টি এম মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, হাসপাতালে কেউ চিকিৎসা নিতে আসলে আমাদের এখানকার কোন স্টাফ যদি ওই রোগীকে প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুমেক হাসপাতালে ভর্তি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত আঃ রহিম বলেন, গত ২৫ জানুয়ারি রাতে তিনি মোরেলগঞ্জের মেইন রোডের সামনে দাঁড়ানো থাকা অবস্থায় পেছন থেকে একটি দ্রুতগামী মোটরসাইকেল তাকে ধাক্কা দেয়। এ সময় তার ডান পা ভেঙে যায়। ওই রাতে হাসপাতালে আসলে এখন কোন চিকিৎসক নেই এমন অজুহাত দেখিয়ে তাকে আবুল বাশার নামে ওই হাসপাতালের স্টাফ বাইরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করান। তার কথা মত, ওই দিন ভর্তি হলে তার ডান পা ভাঙায় প্লাস্টার করানো হয়। প্রায় ৫-৬ দিন থাকার পর তার পায়ের ব্যথার কোন উন্নতি হয়নি। এই কয়েকদিনে তার ২৭ হাজার টাকা খরচ হয়ে যায়। যখন ভাঙা পায়ের ব্যথা সহ্য করতে না পেরে ওই ক্লিনিকের কর্তৃপক্ষকে জানালে তাকে ৪০ হাজার টাকা আরও খরচ হবে বলে জানান। পরে গত ১ ফেব্রুয়ারি সে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি হন। ওইখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বলেন, তার ভাঙা পায়ের প্লাস্টার ভালোভাবে করা হয়নি, তাই ব্যথা হচ্ছিল।
রোগী আঃ রহিম মোরেলগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা মৃত ইউসুফ আলী মুন্সীর পুত্র। পেশায় একজন দিনমজুর। জানা গেছে, ওই হাসপাতালের স্টাফ আবুল বাশারকে পোর্ট হেলথ থেকে ডেপুটেশনে এখানে আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে এর আগেও অনেক অভিযোগ ছিল। তার পিতা ওই হাসপাতালে চাকরি করায় কেউ তার বিরুদ্ধে কিছু বলতে চায় না।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মোঃ আতাউর রহমান বলেন, আবুল বাশারকে দুই মাস আগে তার ডেপুটেশনের অর্ডার বাতিল করা হয়েছে। ওই সময় সে এখানে ওয়ার্ডবয়ের দায়িত্বে ছিল। তিনি পোর্ট হেলথ থেকে একবার এখানে ডেপুটেশনে ছিলেন। কাগজ-কলমে তার এই হাসপাতালে নিয়োগ নেই।