ইউনিক ডেস্ক : আমার পরিবারে একমাত্র আয়ের উৎস আমি। এর মধ্যে তিন সন্তানকে আমার লেখাপড়া করাতে গিয়ে তিন বেলা খেতে পারি না। আমার জন্য কিছু একটা করেন বলতে বলতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন
খুমেক হাসপাতালে আউটসোর্সিং-এ আড়াইলাখ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ পাওয়া নন্দ কুমার দাস। তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, ঠিকাদার কোম্পানির দালালের মাধ্যমে আড়াই লাখ টাকার বিনিময়ে চাকুরি নেন। এরপরে আট মাস বেতন বকেয়া রেখেই চাকুরি থেকে আমাকে বাদ দিয়ে দেয়া হয়। এ নিয়ে পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করলেও কোন সদুত্তর পাইনি। শুধু নন্দ কুমারই নয় একই অবস্থা বরন করতে হয়ে প্রায় তিনশত কর্মচারিকে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটসোর্সিংএ নিয়োগ পাওয়া ৩০৬ কর্মি বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। এ নিয়ে হাসপাতালের পরিচারকের কাছে একাধিক অভিযোগ করা হলেও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ নিরব।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের শেষের দিকে আউটসোর্সিং খাতে ৩০২ জন কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়। যার মেয়াদ ছিলো ২০২২ সালের জুন মাস পর্যন্ত। এরমধ্যে অধিকাংশেরই ৬ মাস থেকে ১ বছরের বেতন বকেয়া রেখে চাকুরি থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। এরপওে নতুন করে আরও ১০০ জন কর্মির মেয়া বাড়িয়ে এনে ফের নিয়োগ বানিজ্য শুরু করেন মাছরাঙ্গা সিকিউরিটি সার্ভিস ও কন্ট্রাক ক্লিনিং সার্ভিস। আউটসোর্সিং কর্মচারীরা মাসিক বেতন পায় ১৬ হাজার ৬২০ টাকা ধরা হয়। মাছরাঙ্গা সিকিউরিটি সার্ভিসের প্রধান ফারুক হোসেন হেমায়েতকে একাধিকবারে ফোন করলে তিনি রিসিভ করেননি কল। তবে ঘুষ ও বেতন কেলেংকারিতে আলোচিত নড়াইলের বিছালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন হেমায়েত মালিকানাধিন মাছরাঙ্গা সিকিউরিটি সার্ভিস ও কন্ট্রাক ক্লিনিং সার্ভিস স্বাস্থ্যখাতের কর্মকর্তাদের সহায়তায় ফের আউটসোর্সিংএ জনবল নিয়োগের জন্য তদবির চালাচ্ছেন। যা নিয়ে ভূক্তভোগীদের মধ্যে বিরাজ করছে ক্ষোভ।
তবে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মোঃ রবিউল হাসান জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্টান মাছরাঙ্গা সিকিউরিটি সার্ভিস ও কন্ট্রাক ক্লিনিং সার্ভিসকে সম্পূর্ন টাকা দিয়ে দেয়া হযেছে। তারা যদি বেতন না দেয়, তাহলে এর দায়ভার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের। তিনি আরও জানান, কোন কর্মচারি কর্মরত থাকা অবস্থায় আমাদের কাছে অভিযোগ করেননি। চাকুরির মেয়াদ শেষ হবার পরে কয়েকজন কর্মচারি আমার কাছে অভিযোগ করেছেন।