খুলনা : খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ফ্রি সার্ভিস দারায়োনের হাতে ভর্তিকৃত রোগীর আত্মীয় মেহেদী হাসান শামীম নামে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করেছে। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে খুমেক হাসপাতালে মেডিসিন ইউনিট-১ এর ৫-৬ ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শামীম হাসপাতালের তত্তাবধায়ক ও সোনাডাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ ওই ওয়ার্ডের সহকারি রেজিস্ট্রারকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন।
অপরদিকে হাসপাতালে নিয়োজিত কতিপয় ফ্রি সার্ভিসদের হাতে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর আত্মীয়রা তাদের হাতে মারপিট ও লাঞ্ঝিত ঘটনা অভিযোগ রয়েছে।
খুমেক হাসপাতালের তত্তাবধায়ক ডাঃ এটি এম মঞ্জুর মোর্শেদ এ প্রতিবেদককে বলেন, মারপিটের শিকার রোগীর আত্মীয় অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার বিষয়ে তিন সদস্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে দোষী সাবস্ত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ বেলাল হোসেন এ প্রতিবেদককে বলেন, ওই সময় ফ্রি সার্ভিসে নিয়োজিত আসলাম নামক এক দারোয়ানের সাথে এ ঘটনা ঘটে। এটা সত্যিই খুবই দুঃখজনক। আমরা এ কারণে মেডিসিন ইউনিট-১ এর ৫-৬ ওয়ার্ডে সহকারি রেজিস্ট্রাটর ডাঃ পার্থ সারথিকে প্রধান করে ৩ সদস্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিকে আগামী তিন দিনের মধ্যে তাদের তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হচ্ছে হাসপাতালের সেবা তত্ত¡াবধায়ক শামীম আরা বেগম ও ওয়ার্ড মাস্টার আতাউর রহমান।
অভিযোগে রোগীর আত্মীয় মািরপিটের শিকার মেহেদী হাসান শামীম উল্লেখ করেন, শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে খুমেক হাসপাতালে তার ছোট ফুফু ইসমত আরা ভর্তি ছিলেন। শনিবার সকালে তিনি হঠাৎ করে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমরা যখন নাস্তা করতে নিচে আসি, তখন পাশের এক রোগীর মোবাইল থেকে জানতে পারি। আমি তখন দ্রুত মেডিসিন ইউনিট-১ এর ফুফুকে দেখতে যাই। এই সময় সিকিউরিটি গার্ড আসলাম আমাকে যেতে নিষেধ করলেও একজন রোগী ঢোকার সময় তার সাথে আমিও ঢুকে পড়ি। এই সময় সিকিউরিটি গার্ড আসলাম গেট আটকিয়ে আমাকে নাকে ৫-৬টি ঘুষি মারে। তখন আমার নাক রক্তাক্ত জখম হয়।
তিনি অভিযোগ করেন, আমি ওই সময় দাড়িয়ে থাকার অবস্থায়ই ওই সিকিউরিটি গার্ড ফেরিওয়ালা ঢুকতে চাইলে তাকে বাধা দিলো না, আমার অসুস্থ রোগীর জন্য ঢুকতে গেলেই তখনই বাধা দেয়। তিনি ঢাকা তিতুমীর কলেজের মাস্টার্সের শেষ বর্ষের ছাত্র।
এ ব্যাপারে সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এস আই উজ্জ¦ল সরকার বলেন, এই ঘটনায় ভুক্তভোগী মেহেদী হাসান শামীম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। খুমেক হাসপাতালের একজন সিকিউরিটি গার্ড তাকে মারধর করেছেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতালে নিয়োজিত অধিকাংশই ফ্রি সার্ভিসের লোকজন বিভিন্ন সময় হাসপাতালে নিতে আসা রোগীর আত্মীয় স্বজনদের সাথে খারাপ আচরন ও মারধর ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছেন।