খুলনা : প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মোঃ হান্নান শেখ (৩৫) নামে এক ব্যক্তি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সে এখন মৃত্যুও সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। গত ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জ কাশিয়ানী থানা ফলসি গ্রামে বঙ্গবন্ধু জন্ম বার্ষিকী কেক কাটাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তিনি গুরুত্বর জখম হন। তার পেটের নাড়ি ছিদ্র হয়ে গেছে। এ ঘটনায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে আহতের বড় ভাই জাকির হোসেন বাদি হয়ে কাশিয়ানী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে কাশিয়ানী থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহ জালাল মঙ্গলবার রাতে এ প্রতিবেদককে বলেন, মুলত ওই জায়গায় স্কুল ম্যানেজিং কমিটিকে কেন্দ্র করে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। আহত হান্নানের বড় ভাই মোঃ জাকির হোসের বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের ধরতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান অব্যাহত আছে।
খুমেক হাসপাতালে সার্জারি বিভাগে ইউনিট-১ এর ৯-১০ ওয়ার্ডে ভর্তি মোঃ হান্নান শেখ চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। গুরুত্বর আহতের চাচাতো ভাই মোঃ জামাল শেখ মঙ্গলবার এ প্রতিবেদককে জানান, গত ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জে কাশিয়ানি থানাধীন ১০৯নং নিজামকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটার আয়োজন ছিলো। ওই দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কেক কাটাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষরা তার চাচাতো ভাই মোঃ হান্নান শেখকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পেছন থেকে আঘাত করে। এতে সে গুরুত্বর জখম হয়। এতে তার পেছন থেকে উরু থেকে পেটের মধ্যে গিয়ে নাড়িতে আঘাত লাগে। ওই দিন প্রথমে তাকে কাশিয়ানী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার পরের দিন হান্নানের অবস্থা খারাপ হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। এ পর্যন্ত তার তিন বার অস্ত্রপাচার করা হয়েছে। তাকে আইসিসিইতে রাখা হয়েছিল।
এ ব্যাপারে কাশিয়ানী থানায় খায়রুল ইসলাম, হামিদ শেখ, সবুজ শেখ, লিপ্টন শেখ ও খোকন শেখ ও তাদের পিতা মুজিবর শেখকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চিকিৎসকরা জানান, হান্নান এখনো আশংকামুক্ত নয়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার নাড়িতে আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন।