খুলনা : এমসি সার্টিফিকেটে মাথায় জখমি পরিবর্তে শরীরের জখমী ফোলা উল্লেখ করায় পুনরায় খুমেক হাসপাতালের কর্তৃপক্ষকে পুনরায় বোর্ড গঠন ও ভিকটিম পুনরায় পরীক্ষা পুর্বক জখমি সার্টিফিকেট প্রদানের নির্দেশ দিয়ে সংশ্লিষ্ট আদালত। বাদী স্বরস্বতী রায় ও ভিকটিম স্ব শরীরে আদালতে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি আপত্তি জানালে বিজ্ঞ বিচারক খুমেক হাসপাতালের কর্তৃপক্ষকে এ আদেশ প্রদান করেন। খুমেক হাসপাতালে অফিস সহকারি বিরুদ্ধে আসামীর পক্ষে ম্যানেজ হওয়ার অভিযোহ ভিকটিমের। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ এর আদালতে মামলাটি চলমান রয়েছে। যার নং-সি, আর-১৩৬/১৭। এই মামলা বাদী স্বরস্বতী রায়। মামলায় ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
খুমেক হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ এটি এম মঞ্জুর মোর্শেদ এ প্রতিবেদককে বলেন, কেউ আমার কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেনি। হাসপাতালের অফিস সহকারি যদি কারো পক্ষে হয়ে গোপনে এই অবৈধ কাজটি করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তিনি বলেন, আমি এখানে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই নিয়ম অনুযায়ী আদালত বা থানা থেকে ভিকটিমের ইনজুরি সার্টিফিকেট চাওয়ার পরই দেয়া হচ্ছে। এর আগে যেই হোক না কেন এমসি প্রদান করা হচ্ছে না। আদালত পুনরায় চাইলে সঠিক নিয়মতান্ত্রিকভাবে তা দেয়া হবে।
ভিকটিম সুশংকর রায় সোমবার খূমেক হাসপাতালে এ প্রতিবেদককে বলেন, হাসপাতালের অফিস সহকারি রফিকুল আলম মামলার আসামীর পক্ষে থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে আমার জখমি সনদপত্র সঠিকভাবে প্রেরন করেনি। তিনি হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে পুনরায় জখমি সনদপত্র আনতে গেলে তখন ওই অফিস সহকারি তার সাথে অকাথ্য ভাষা উচ্চারন করে বলে, কি ভাবে আপনি সঠিক সনদপত্র পান আমি দেখে নেব।
এ ব্যাপারে খুমেক হাসপাতালে জরুরি বিভাগে মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম গাজী সোমবার রাতে বলেন, যদি আমি দিয়ে থাকি। তাহলে পুনরায় যাচাই-বাছাই করে দেয়া হবে। এতে কোন সমস্যা নেই।
এ ব্যাপারে খুমেক হাসপাতালের অফিস সহকারি রফিকুল আলম সোমবার রাতে এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি তার সাথে কোন খারাপ আচরন করেনি। আদালত বা থানার মাধ্যমে ইনজুরি সার্টিফিকেট চাইলে আমরা হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ফরোয়াডিং করি।
মামলার বাদী স্বরসতী রায়ের পক্ষে অ্যাডভোকেট বিপ্লব রায় জানান, বাদী ছেলে সুশংকর রায়ের মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপে চিহৃ রয়েছে। খুমেক হাসপাতালে পুলিশ কেস স্লিপে তার মাথায় ৫টি সেলাই কথা উল্লেখ করা হয়। কিন্তু যখন ওই হাসপাতাল থেকে শংকর রায়ের এমসি আদালতে প্রেরণ করা হয়। তখন দেখা যায়, মাথায় আঘাতের কথা উল্লেখ না করে শরীরের জখমি ফোলার কথা বলা রয়েছে। এতে বাদী আদালতে আপত্তি জানালে, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর ১ আদালত বিজ্ঞ বিচারক বাদী ও ভিকটিম উভয়কে গত বৃহস্পতিবার আদালতে তলব করেন। এ সময় বিজ্ঞ বিচারক মারুফ আহম্মেদ ভিকটিম শংকর রায় মাথায় আঘাতের চিহৃ ও সেলাই দেখতে পান। তখন বিজ্ঞ বিচারক খুমেক হাসপাতালের কর্তৃপক্ষকে পুনরায় বোর্ড গঠন ও ভিকটিমকে পুনরায় পরীক্ষা পুর্বক মেডিকেল সার্টিফিকেট (এমসি) আগামী ২৯ জানুয়ারি ২০১৮ এর মধ্যে প্রদানের নির্দেশ দেন। অ্যাডভোকেট বিপ্লব রায় বলেন, আসামীর পক্ষে ম্যানেজ হয়ে ওই এমসি প্রেরণ করা হয়েছে