খুলনা : খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধিন সবুজবাগ মেট্রোপলিটন কলেজ রোডে ড্রীম ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কো-অপারেটিভ লিঃ’র নামে ১২শ’ গ্রাহকের প্রায় ৪/৫ কোটি টাকা নিয়ে মালিক উধাও হয়েছেন। ১-৮ লাখ টাকা করে ঋন দেয়ার নামে প্রতি লাখে ১০ হাজার টাকা করে জামানত নিয়ে মালিক জনৈক রিমন খান গত বুধবার রাত থেকে লাপাত্তা রয়েছে। ঘটনা জানতে পেরে শত শত অসহায় গ্রাহক সমিতির সামনে এসে হাজির হয়ে কান্নাকাটি করছেন। এ ঘটনায় সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশ ওই সমিতিতে কর্মরত ৫ জনকে আটক করেছেন। তবে তারাও সমিতির মালিক রিমন খানের কাছে প্রতারিত হয়েছেন বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এ ঘটনায় নয়জনকে আসামী করে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবার সোনাডাঙ্গা থানায় এলাকায় প্রতারিত গ্রাহকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরে তারা পুলিশের আশ্বাসে বাড়ী ফিরে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় দেড় মাস আগে কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানের মূল হোতা রিমন খান, মাসুম বিল্লাহ, রাব্বি ইসলাম ওরফে রাজু, আরিফ ও এনামুল নামে কতিপয় প্রতারক চক্র চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রায় ২০-২৫ জন কর্মকর্তা ও মাঠ কর্মীর কাছ থেকে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা জামানত আদায় করে। মাঠ কর্মীদের দ্বারা সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে প্রতারণা শুরু করে। চক্রটি লোন দেবার কথা বলে মাসিক সঞ্চয় সংগ্রহ শুরু করে। সাধারণ মানুষের বিশ্বাস যোগাতে এক কিস্তি দেবার পর ৪-৫ জন গ্রাহকে মোটা অঙ্কে লোন দেওয়া হয়। এক লাখ টাকা লোন পেতে মাসিক ১০ হাজার টাকা কিস্তি দিতে হবে এমন প্রলোভনে পড়ে অসহায় মানুষেরা হিসাব খুলে কিস্তির টাকা পরিশোধ করে। প্রায় ৫০-৬০ জন গ্রাহককে বুধবার লোন দেবার কথা বলা হয়। কিন্তু সকাল থেকে গ্রাহকরা লোনের টাকা নিতে আসলে মূল প্রতারক চক্রটি গোপনে পালিয়ে যায়। এক পর্যায়ে গ্রাহকরা ক্ষুব্ধ হয়ে হৈচৈ শুরু করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে আবু আনসার (৩৫), শেখ জাহাঙ্গীর (৫০), মোঃ তহিদুল ইসলাম (৩৩) ও মোঃ নেছার হাওলাদারকে আটক করে থানা নিয়ে আসে।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ওসি মমতাজুল হক জানান, সমিতির মালিক রিমন খানের কোন ঠিকানা কারও কাছে পাওয়া যায়নি। মনে হচ্ছে সে বড় ধরনের একজন প্রতারক। এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পরে মালিক রিমন খানসহ ৯ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া সবুজবাগ মেট্রোপলিটন কলেজ রোডের ৪ নম্বর রোডের ৪ নম্বর বাড়িতে অবস্থিত সমিতির কার্যালয়টি তালাবদ্ধ করে বাড়ির মালিকের জিম¥ায় রাখা হয়েছে।