ইউনিক প্রতিবেদক: স্ত্রী হত্যার দায়ে পুলিশের সাবেক এপিবিএন কনস্টেবল মোঃ মাহমুদ আলমকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত।
বুুধবার খুলনা বিভাগীয় জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ সাইফুজ্জামান হিরো এ নির্দেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আরিফ মাহমুদ লিটন।
আসামি সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার জামালনগর গ্রামের জাবেদ আলী সরদারের ছেলে। সে খুলনার শিরোমনির ৩য় এপিবিএনর নায়েক হিসেবে কর্মরত ছিল।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা য়ায়, ২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর আসামির সাথে ভিকটিম জোয়ানা আক্তার উষার বিয়ে হয়। হত্যাকান্ডের দুই মাস পূর্বে আসামি খুলনা মহানগরীর যোগীপোল ৯ নং ওয়ার্ড মোঃ মনিরুল ইসলামের বাড়ি ভাড়া নেয়। উষাকে খুলনার ওই বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর থেকে তাদের মধ্যে ঝগড়া কলহ লেগে থাকত।
২০১৯ সালের ৫ এপ্রিল উষাকে মারধর করলে বিষয়টি তার মাকে জানায়। পরেরদিন নিহতের ভাই জিএম সোহেল তাদের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়। পথিমধ্যে আসামির সাথে নিহতের ভাইয়ের দেখা হলে জানায় ব্যাটেলিয়ানের পুকুরে গোসল করতে যাচ্ছে সে। বাসার নিকট গিয়ে সোহেল বোনকে ডাকতে থাকে। একপর্যয়ে সাড়াশব্দ না পেয়ে দুপুর দেড়টার দিকে ঘরে গিয়ে দেখেন উষা কাঁথা গায়ে দিয়ে ঘুমিয়ে আছে। ডাক দেওয়ার পর না উঠলে তিনি পাশের বাড়ির ফরিদা পারভীনকে ডেকে উষার মুখে পানি দেয়। পরে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই দিন নিহতের ভাই বোনের স্বামী মাহমুদ আলম, পিতা জাবেদ আলী সরদার ও মা লুৎফুন্নেছার নাম উল্লেখ করে খানজাহান আলী থানায় মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ১৫ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নৃপেন পুলিশ কনস্টেবল মাহমুদ আলমকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ২২ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ৭ জন সাক্ষ্য প্রদান করেছে।
মামলার বাদী সোহেল রায়ের ব্যাপারে খুব খুশি। রায়টি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান তিনি।