ইউনিক ডেস্ক : খুলনা মহানগরীতে বিভিন্ন সময় চুরি হওয়া ছয়টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় মোটরসাইকেল চোর চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। আজ বৃহষ্পতিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে খুলনা সদর থানা প্রাঙ্গনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গত ৫ আগষ্ট নগরীর জাহিদুর রহমান সড়ক থেকে একটি এ্যাপাচি আর টি আর ১৬০ সিসির মোটরসাইকেল চুরি হয়। এই ঘটনায় গত ০৯ খুলনা থানায় একটি চুরি মামলা রুজু হয়। এই মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নগরীর সোনাডাঙ্গা আল ফারুকী এলাকার বাসিন্দা মোঃ সবুজ শেখকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে আল ফারুকী এলাকার অপর এক বাসিন্দা সুমন মিস্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গোপালগঞ্জ এর মোকসেদ পুর এলাকার লিঠন শেখ এর বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া এ্যাপাচি আর টি আর ১৬০ সিসির মোটরসাইকেলসহ আরও পাঁচটি মটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। যা বিভিন্ন সময় খুলনা মহানগরী থেকে চুরি করে মটরসাইকেল চোর চক্র। এ সময় লিটন শেখকেও গ্রেফতার করা হয়।
উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেলগুলো হলো লাল রং এর পালসার ১৫০ সিসি, লাল ও কালো রং এর পালসার ১৫০ সিসি, নীল রং এর এ্যাপাচি আর টি আর ১৬০ সিসি, কালো রং এর এ্যাপাচি আর টি আর ১৫০ সিসি ও একটি লাল কালো রং এর ডিসকভার ১০০ সিসির মটরসাইকেল।
গ্রেফতারকৃত সুমন মিস্ত্রী(৩৬) পিরোজপুরের নাজিরপুর থানার গাউখালী গ্রামের কৃষ্ণ মিস্ত্রীর পুত্র। তার বিরুদ্ধে একটি চুরি মামলা রয়েছে। অপর আসামী সবুজ শেখ (৩৩) পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর এলাকার চালিতাবাড়ি এলাকার আব্দুল হাই শেখ এর পুত্র। তার বিরুদ্ধে পূর্বের কোন মামলা আছে কিনা সে তথ্য দেয়নি পুলিশ। অপর আর এক আসামী লিটন শেখ (৪০) বাগেরহাট সদর এর নয় নং ওয়ার্ড এর শামছু শেখ এর পুত্র। তার বিরুদ্ধে পূর্বে পাঁচটি চুরি ও দুটি মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত মামলা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, ডিসি সাউথ মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান আল মামুন, এই চোরাই মটরসাইকেল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুজিত মিস্ত্রীসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।