টাকা ছড়াতে না পারায় ত্যাগীনেতারা রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়ছে
গোলাম মোস্তফা খান, খুলনা : টাকা ছাড়া বর্তমানে কোন রাজনীতি নাই,টাকা যার নেতা তার,ক্ষমতা তার,পদও তার। টাকা ছাড়া বর্তমানে নেতা হওয়া দুরে থাক কোন কমিটিতেই নাম ওঠে না। এমন সব কথাবার্তা প্রায়ই আলোচনা হয় খুলনা শহর থেকে শুরু করে ৯টি উপজেলার হাটে মাঠে ঘাটে বাজারের চায়ের দোকান সহ সর্বত্রই ।সরেজমিন দাকোপের চালনাবাজারের মিলনের চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সুদুর কয়রা উপজেলা সদরের মধুর ভাতের হোটেলে বসে বেশ কয়েকজন মধ্যে বয়সি আওয়ামীলীগ পাগল মানুষের মুখে অত্যান্ত ক্ষোভের সাথে এমন একই সুর শোনা গেল দলের কথা । ওনাদের কথা টাকা না থাকলে কমিটিতে বর্তমানে আর নাম ওঠে না। টাকা ছাড়া পদ পাওয়া যায় না,তাই সে যত যুগ ধরে দল করুক আর বংগবন্ধুকে ভালবাসুক,তার আদর্শ বুকে লালন করুক,তাতে কোন ফল হবে না।মাঠের নেতারা কেন এমন সব কথাবার্তা প্রায়ই আলোচনা করে থাকেন খোদ ক্ষমতাশীন দলের জেলা উপলোর শীর্ষ পদে থাকা নেতারাও,নেতাদের কথা টাকা ছাড়া রাজনীতি হবে না । নেতাদের কথা, কাজে ও রাজনীতির মাঠে বাস্তবে এমন মিলও খুজে পাওয়া যায়,তাহলে বর্তমানে রাজনীতি কোথায় গিয়ে দাড়িয়েছে,সত্যিই ভাবনার বিষয়।খোজখবর নিয়ে হিসাব নিকাশে বাস্তবে দেখা যায় বিগত ৮/১০ বছরের মধ্য দলের যত কমিটি গঠন হয়েছে জামাত,বিএনপি,রাজাকার,রাজাকার পরিবারের সদস্য প্রতিটি কমিটিতে বড় বড় পদ দখল করে বসে আছে ।বড় বড় নেতাদের ভাষন আর বাস্তবতা এক নয় ওনারা ভাষনে বলে এক,ঘরে বসে আর এক, আর কমিটিতে করে ভিন্ন, টাকা থাকলে কোন বিষয় না, টাকা থাকলে আর টাকা খরচ করে সভা সমিতি,মোটর সাইকেলের বহর ও জেলা উপজেলা জুড়ে নেতাদের পছন্দ মত বড় বড় ছবি সম্বলিত প্যানায় প্যানায় ছেয়ে দিতে পারলে সেই সত্যিকারের নেতা এবং তারই কমিটিতে জায়গা পাওয়ার অধিকার আছে । সেই হতে পারবে নেতার কাছের লোক,বর্তমানে ত্যাগীট্যাগী বলে কোন কথা নেই। এ নিয়মেই চলছে দল। মোট কথা টাকা যার নেতা তার,টাকা যার পদও তার এ নিতীতেই চলছে বড় রাজনৈতিক দলটি।