খুলনা : ‘নিরাপদ অভিবাসন যেখানে, টেকসই উন্নয়ন সেখানে’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে খুলনায় বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হল আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস।
দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন এবং জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস, খুলনার আয়োজনে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি নগরীর শহীদ হাদিস পার্ক থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
র্যালি শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ আমিন উল আহসান।
প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় বলেন, অভিবাসন একটি চিয়ায়ত ব্যবস্থা। বর্তমানে আমরা একটি গ্লোবাল ভিলেজে বাস করছি। এই গ্লোবালাইজেশনের সুবিধা পেতে হলে আমাদেরকে দক্ষ জনশক্তি বিশ্ব বাজারে রপ্তানি করতে হবে এবং অভিবাসন প্রক্রিয়াটা নিরাপদ হতে হবে। অনেকেই সঠিক প্রক্রিয়া না জেনে দালাল বা সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে বিদেশে গিয়ে প্রতারিত হন। ফলে অনেকেই সর্বস্ব খুইয়ে বিদেশে গিয়ে সর্বশান্ত হন। তাই অধিকহারে রেমিটেন্স পাওয়ার জন্য দক্ষ হয়ে, সংশ্লষ্টি দেশের কৃষ্টি কালচার ভাষা জেনে বৈধ উপায়ে বিদেশে যেতে হবে।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, খুলনাঞ্চল থেকে অভিবাসীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। তাই সরকার এই অঞ্চলের জন্য বিশেষ প্রনোদনার ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বৈধ পথে রেমিটেন্স দেশে আনতে সহযোগীতার জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ও বেসরকারী ব্যাংককে ধন্যবাদ জানান।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন এডিসি (এল এ) মোঃ মনিরুজ্জামান, জেলা তথ্য অফিসের উপপরিচালক ম. জাভেদ ইকবাল, সমাজ সেবা অফিসের উপপরিচালক শেখ মাহিনুল ইসলাম, ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ এর খুলনা জোন হেড মোঃ মাকসুদুর রহমান,মহিলা টিটিসি’র অধ্যক্ষ মোঃ রিয়াজ শরীফ এবং ব্র্যাক সেফ মাইগ্রেশনের কর্মকর্তা অমলেশ চন্দ্র দাস। স্বাগত বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী।
দিবসটি পালন উপলক্ষে অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল শিশু চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও ডকুড্রামা প্রদর্শন, প্রীতি ফুটবল ম্যাচ এবং সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরণকারীকে সম্মাননা প্রদান।
দিবসটি পালনে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারী ব্যাংক সহযোগিতা করে।