খুলনা : নগরীর দৌলতপুরে কলেজছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ ও অশ্লীল ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে রানা হাওলাদার (২৪) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত ৯টায় দৌলতপুর থানার পুলিশ মধ্যেডাঙ্গার একটি শালিসি থেকে রানা হাওলাদরকে আটক করে গতকাল শনিবার তাকে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন মালায় কোর্ট হাজতে পাঠিয়েছে। অভিযুক্ত রানার দৌলতপুর মধ্যেডাঙ্গা প্রাইমারি স্কুৃলের পিছনে আদম আলী হাওলাদারের পুত্র। সে একটি মোবাইল ফোনের দোকানের কর্মচারী।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগে জানা গেছে, একই গ্রামের কলেজ পড়–ুয়া (১৭) কন্যা মোবাইলে গান ও গেমস আপলোড করতে যেয়ে রানার সাথে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে রানার সাথে মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সুযোগে রানা মেয়েটিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভোগ করে আসছে। শারিরীক সম্পর্ক করার সময় রানা গোপনে মেয়েটির বিবস্ত্র ছবি মোবাইলে ধারণ করে। মেয়েটি বিয়ের কথা বললে রানা ছবি দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শণ করে এবং নানা টালবাহনা শুরু করে। এতে মেয়েটি মানষিকভাবে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে পরিবারের মধ্যে জানাজানি হয়ে যায়। মেয়েটির পরিবার থেকে রানাকে সমাধান করার কথা বললে রানা মেয়েটির বিবস্ত্র ছবি ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে রানা সুচতুর ভাবে মেয়েটির নামে একটি ফেসবুক আইডি খুলে অশ্লীল ছবি গুলো আপলোড করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে এলাকাবাসী কয়েকবার শালিশ বৈঠক করে কিন্তু রানা কিছুইতেই মেয়েটিকে বিয়ে করবেনা বলে জানায়।
গত শুক্রবার রাতে স্থানীয় দাউদ আলী নামে গ্রামের এক ব্যাক্তির বাসায় এ বিষয়ে শালিশি হয়। শালিশিতে রানার পারিবার বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ খবর পেয়ে রানাকে আটক করে। এদিকে উপযুক্ত প্রমাণ থাকা সত্বেও তথ্য প্রযুক্তি আইনে পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি মোঃ হুমায়ন কবির জানান, মেয়েটি তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলার একটি অভিযোগ করেছে। প্রশাসনের উপর মহলে আলোচনা করে মামলাটি রেকর্ড করা হবে।