খুলনা : নগরীর এম এম সিটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ও একাধিক মামলার আসামি তানভীর হোসেন রকি (২২) নিহতের ঘটনার চার দিন অতিবাহিত হলেও কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় গত রবিবার নিহতের পিতা মোঃ আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ১৮ জনের নাম উল্লেখ এবং আরো ৫/৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে খুলনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। যার নং-৫২।
এ মামলার আসামিরা হলেন নগরীর পূর্ব বানিয়াখামার এলাকার মোঃ সেকেন্দার আলীর ছেলে মোঃ মিজান ওরফে দাদো মিজান (৩৮), বয়রা এলাকার শাহজাহান খানের ছেলে সাইদুর রহমান শাওন ওরফে ট্যাংকি শাওন (৩৫), ৮/১ দক্ষিণ টুটপাড়া ইস্ট সার্কুলার রোডের মোঃ হেলাল (২৫), মুজিবর রহমানের ছেলে মো সুমন (৩৫), মোঃ আমিন উদ্দিনের ছেলে মোঃ ফয়সাল (২৬), শানু মহুরীর ৩ ছেলে মোঃ নুর আজিম (২২), মোঃ রকি (২৭), মোঃ জিকো (৩৫), টুটপাড়া এলাকার শহিদুলের ছেলে মোঃ সজীব (২৮), মোঃ রিয়াল (২৮) মোঃ রিয়াজ (২৭), সারাফাতের ছেলে মোঃ সবুজ (২৪), মোঃ সুমন (২৩), জোড়াগেট মন্টুর কলোনীর মোঃ কালাম হোসেনের ছেলে মোঃ পাপ্পু শেখ (২৮), পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার ধানীসাপা গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান ব্যাপারীর ছেলে মোঃ আব্দুল কুদ্দুস ওরফে বাচ্চু ব্যাপারী (৪৫), মৃত নুরুল হকের ছেলে মোঃ মনির আহম্মেদ (৩৫), মোঃ লুৎফর রহমানের ছেলে মোঃ জাকারিয়া (৩৮) ও মৃত আব্দুর রহমান আকনের ছেলে মোঃ শাহ আলম আকন (৫০)।
সূত্র জানায়, মাদক সংক্রান্ত বিরোধে গত ১০ জুলাই নগরীর জোড়াগেট মোড়ে সাইদুর রহমান হাওলাদার (২৫) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে পাপ্পু শেখ নামের এক যুবককে আটক করে র্যাব-৬। পরে কিছুদিন জেল খেটে বেরিয়ে এসে জোড়াগেট এলাকায় আবারও মাদক ব্যবসায় লিপ্ত হয় পাপ্পু। বর্তমানে জোড়াগেট, রেলবস্তিতে রয়েছে তার মাদক ব্যবসার আধিপত্য। গত ২৭ অক্টোবর সন্ত্রাসী হামলায় নিহত সিটি কলেজের ছাত্র রকির মামলায়ও এজাহারভুক্ত আসামী সে।
রকির পিতা মোঃ আনোয়ার হোসেন এজাহারে উল্লেখ করেছেন, টাকার বিনিময়ে পাপ্পু শেখসহ অন্যান্য আসামীরা তার ছেলেকে হত্যা করে। তিনি ডাবল মার্ডার মামলার আসামী পাপ্পুসহ অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের কাছে দাবি জানান।
খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ এম এম মিজানুর রহমান জানান, তানভীর হোসেন রকি খুলনা থানার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত নানা অপরাধের অভিযোগে ১৪টি মামলার সন্ধান মিলেছে। এ মামলায় এখনও কোন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়নি। ধারনা করা হচ্ছে ঘটনার পর থেকে তারা পালিয়ে রয়েছে। তবে তাদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়েছে।