খুলনা : নিজের অমতে বিয়ে দেওয়ায় খুলনা নগরীতে গলায় ফাস লাগিয়ে এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার নাম শায়লা আক্তার মিম (১৫)। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে খুলনা নগরীর রায়ের মহলের ব্যাংক পাড়ায় সেলিম শেখের বাসা থেকে মিমকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মিম ছিল খুলনার হাজী ফয়েজউদ্দিন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মিমের চাচী জাহানারা বেগম জানান, তিন মাস আগে মিমকে পারিবারিকভাবে প্রতিবেশী রনির সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর জানা যায়, নাদিম নামে অন্য আরেকটি ছেলের সঙ্গে মিমের প্রেম ছিল। এ অবস্থায় পরিবারের লোকজন মিমকে অনেক বোঝায়। এরমধ্যে গত শনিবার (২১ অক্টোবর) তাকে বাসা থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় নাদিম। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশের তৎপরতায় মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাতে মিমকে ফেরত দেয় নাদিম। বাসায় ফেরার পর তার আচরণ স্বাভাবিক ছিল না।
জাহানারা বেগম আরও জানান. বৃহস্পতিবার সকালে মিমের মা নাদিরা বেগম সমিতির কাজে বাইরে যান। এসময় বাসায় কেউ ছিল না। বেলা ১১ দিকে তিনি বাসায় ফিরে মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। এ অবস্থায় মিমকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী রেজাউল করিম জানান, কয়েকদিন আগে মেয়েটির বাবা সেলিম শেখ থানায় অভিযোগ করেছিলেন যে, তার মেয়েকে প্রতিবেশী এক তরুণ জোর করে ধরে নিয়ে গেছে। এরপর পুলিশ সেই তরুণের বাসায় গিয়ে খোঁজখবর নেয়। এ অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে মিম নিজেই বাসায় ফিরে আসে। আর বৃহস্পতিবার সকালে সে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।