খুলনা : খুলনাসহ বিভিন্ন এলাকার একাধিক হত্যা মামলার আসামি রকিবুল খন্দকার (২২) নামের এক চরমপন্থি সদস্যকে ১টি সক্রিয় লোহার তৈরী অত্যাধুনিক ওয়ান সুটারগানসহ গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শুক্রবার মধ্যরাতে তাকে ফুলতলা থানাধীন আলকা এলাকা থেকে আটক করা হয়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ সিকদার আককাছ আলী পিপিএম জানান, পুলিশ সুপার নিজামুল হক মোল্যার সার্বিক নির্দেশনায় পুলিশ পরিদর্শক সেখ কনি মিয়া এর নেতৃত্বে এসআই মোঃ লুৎফর রহমান সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফুলতলা থানাধীন উত্তর আলকা সাকিনের জনৈক মনিরুজ্জামান @ মনির এর স-মিলের পাশে অভিযান চালায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে নিউ বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য রকিবুল খন্দকার (২২) কে আটক করা হয়। তার দেহ তল্লাশী করে তার পরিহিত প্যান্টের ডান পাশের কোমরে গোজা ১টি সক্রিয় লোহার তৈরী অত্যাধুনিক ওয়ান সুটারগান উদ্ধারপূর্বক জব্দ করেন। আটক যুবক স্থানীয় মাহাবুব খন্দকার @ মাহামুদ মিস্ত্রির ছেলে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, তার সাথে থাকা আরো ৪/৫ জন অস্ত্র গুলি বোমাসহ দৌড়ে পালিয়ে গেছে। আগামী ০৮/০২/২০১৮ তারিখ বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদার বিচারাধীন মামলার রায়কে কেন্দ্র করে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে অস্ত্র-গুলিসহ ধর্তব্য অপরাধ করার জন্য সে সহ পলাতক সহযোগীরা অবস্থান করছিল।
তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে এখন পর্যন্ত ফুলতলা থানায় ৩টি ও অভয়নগর থানায় ২টি মামলার কথা জানা গেছে। মামলাগুলো হলো ফুলতলা থানার এফ আই আর নং-৪, তারিখ- ২৬/৩/২০১৪, ধারা- ১২০/৩০২/৩৪ পেনাল কোড মামলায় সে অভিযোগ পত্রে অভিযুক্ত (এজাহারনামীয়)। ফুলতলা থানার মামলা নং-১৪(৪)১৪ ধারা-১৪৩/১৪৮/৩২৬/৩০৭/৩৪/১০৯ পেনাল কোড ও ফুলতলা থানার মামলা নং-০৫(১)১৩ ধারা-৩৬৪/২০১/৩০২/৩৪ পেনাল কোড ৪ এবং অভয়নগর থানার মামলা নং-২৪(১১)১৪ ধারা-৩০২/১০৯/৩৪ পেনাল কোড (সিএস)/১৭ ইং ও অভয়নগর থানার মামলা নং-২৫(১১)১৪ ধারা-১৯-অ ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইন মামলায় সে অভিযুক্ত মর্মে জানা যায়। এছাড়াও সে জেলা গোয়েন্দা শাখার সন্ত্রাসী তালিকা ২০১৬ এর ৫৮ নং তালিকাভূক্ত নিউ বিপ্লবী কমিউনিস্ট পাটির সদস্য।
এ বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখা, খুলনার এসআই মোঃ লুৎফর রহমান বাদী হয়ে ফুলতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে ফুলতলা থানার মামলা নং-০২ তারিখ-০২/০২/২০১৮ খ্রিঃ ধারা ১৯৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯(অ) রুজু হয়। অস্ত্রের উৎসের অনুসন্ধান এবং সহযোগী আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে বরে তিনি আরও জানান।