ইউনিক ডেস্ক : নগরীর সাউথ সেন্ট্রাল রোডস্থ একটি বাড়ীতে ডাকাতির অভিযোগে খুলনা সদর থানায় দায়ের হওয়া মামলার দুই আসামি গ্রেফতার হয়েছে। তাদের হেফাজত হতে লুণ্ঠিত ৫ লক্ষাধিক টাকা, ধাঁরালো অস্ত্র, হাতুড়ি ও একটি মোটর সাইকেল জব্দ হয়েছে। রোববার রাতে ও সন্ধ্যায় থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে এ উদ্ধার-গ্রেফতার হয়েছে। এর আগে এই মামলায় আরও দুই আসামি গ্রেফতার হয়েছিল।
আসামিরা হচ্ছে, পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার গাবুয়া গ্রামের জনৈক মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মো: হাসান শেখ (২৩) এবং পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানাধীন মদমোল্লা মাঝিবাড়ী এলাকার জনৈক হুমায়ন কবীর মাঝির ছেলে মো: সুমন মাঝি (৩২)। হাসান মহানগরী খুলনার ইসলামপাড়া আমতলা মোড়ের একটি বাড়িতে এবং সুমন মোল্লাপাড়া মসজিদবাড়ী খালপাড় এলাকার মসজিদ বাড়ি রোডের একটি ভবনে ভাড়া থাকত।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার সন্ধ্যায় রূপসা স্ট্যান্ড রোডস্থ বাংলাদেশ ম্যাচ ফ্যাক্টরির বন্ধ গেটের সামনে হতে সুমনকে গ্রেফতার করা হয়। তার হেফাজত হতে একটি লাল রঙের মোটর সাইকেল, একটি হাতুড়ি, একটি ছেনি, তিনটি ছোরা ও নগদ ৩০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে। অন্যদিকে, রাতে লবণচরা থানাধীন বান্দাবাজার এলাকায় পরিচালিত অভিযানে নগদ পাঁচ লাখ টাকাসহ হাসান নামের আরেক আসামি গ্রেফতার হয়েছে।
খুলনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, দুই আসামি আদালতে অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছে। লুন্ঠিত অন্যান্য মালামাল উদ্ধারসহ ডাকাতিতে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।
আদালতের এক কর্মকর্তা বলেন, সোমবার দুপুরে থানা পুলিশ দুই আসামিকে আদালতে সোপর্দ করে। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো: আল আমীন তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে খুলনা থানাধীন চাঁনমারী এলাকা হতে মো: ইউনুচ হাওলাদার ওরফে বস কালু (৩৪) এবং রূপসা ট্রাফিক মোড় হতে আবুল কালাম আজাদ (৫৪) নামে দুই জন গ্রেফতার হয়। ইউনুচ লবনচরা থানার মোক্তার হোসেন সড়কস্থ একটি বাড়ীতে এবং আজাদ বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানার বড় খাজুরা এলাকায় বসবাস করতেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সূত্রমতে, গত ২৯ জানুয়ারি ভোর রাত সাড়ে ৪ টার দিকে ছয় জনের একদল ডাকাত সাউথ সেন্ট্রাল রোডস্থ একটি তিন তলা ভবনের সিমানা প্রাচীর টপকে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা ওই ভবনের দোতলার বেলকনিতে উঠে গ্রীলের তালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে লতিফুর নেছা পারু (৫৫) এবং তার ছেলে এসএম নাসিমুজ্জামান (২৬) কে হাতা-পা ও মুখ বেধে ওই কক্ষেই আটক করে। বাড়ীর দারোয়ান অজয় (৫৫) কেও তারা একইভাবে বন্দী করে। ডাকাত দল আলমারিতে রক্ষিত দুইটি সোনার চেইন, একটি আংটি, এক জোড়া কানের দুল, একটি ডায়মন্ডের নেকলেস ও নগদ ২০ লাখ টাকা লুট করে। এরপর বাসার সিড়িঘরে থাকা একটি লাল রঙের এফ জেড ব্রান্ডের মোটর সাইকেল নিয়ে তারা বেরিয়ে যায়। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৯ -১০ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়।