খুলনা : খুলনায় মহান শহীদ দিবস উপলক্ষে নিরাপাদে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এছাড়া একুশের প্রথম প্রহর থেকে শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত করা হচ্ছে খুলনার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। ইতোমধ্যে রং আর আল্পনায় সাজানোসহ প্রস্তুতির প্রায় ৬০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আগামীকাল বুধবার মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০১৮ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনে দিনভর কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
আজ রাত ১২টা ১ মিনিটে শহীদ হাদিস পার্কের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, অন্যান্য দফতর ও সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সূচনা হবে।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) নিরাপত্তা সুপার আলমগীর হোসেন বিশ্বাস বলেন, হাদিস পার্কের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের প্রস্তুতির ৬০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে শতভাগ কাজ শেষ হবে। শহীদ মিনার প্রস্তুতির কাজে ২৫ জন কর্মী কাজ করছেন। তিনি জানান, ২১শে ফেব্র“য়ারি পুলিশের পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মীরা দায়িত্ব পালন করবেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) এডিসি (মিডিয়া) সোনালী সেন বলেন, নগরবাসীর নিরাপদে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে হাদিস পার্কের ভেতরে ও বাইরের বিভিন্ন দৃশ্য মনিটরিং করা হবে। প্রয়োজনমত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় দেড়শ’ সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন।
এদিকে খুলনা জেলা প্রশাসনের এক সভায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এ সংক্রান্ত আলোচনায় বলা হয়, প্রথমত পতাকাটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পতাকা দণ্ডের শীর্ষ পর্যন্ত উত্তোলন করতে হবে। এরপর পতাকা দণ্ডের উপর থেকে পতাকার প্রস্থের সমান নিচে নামিয়ে বাঁধতে হবে। দিনশেষে পতাকা নামানোর প্রাক্কালে পতাকাটি পুনরায় শীর্ষে উত্তোলন করে নামাতে হবে। শহীদ দিবস ও জাতীয় শোক দিবসে বা সরকার প্রজ্ঞাপিত অন্যান্য দিবসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। সরকারের অনুমতি ব্যতীত জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা যাবে না। জাতীয় পতাকা বিধিমালা-১৯৭২ (সংশোধিত-২০১০) অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান জাতীয় পতাকা ব্যবহারবিধি লঙ্ঘন করলে তার জন্য সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।