খুলনা : প্যানার এক সময় গুরুত্ব ছিল রাজননৈতিক নেতা সহ সর্বস্তরের মানুষের কাছে।কিন্তু বর্তমানে অনুপ্রবেশকারী যেনতেন বিতর্কিত ব্যাক্তি দলে নাম লেখাতে না লেখাতেই নিজেকে নেতা পরিচয় দিয়ে প্যানা সেটে দিয়েই একটা নেতা নেতা ভাবে চলতে শুরু করে এবং অল্প দিনের মধ্যেই শুরু করে স্হানীয় পর্যায়ে চাঁদাবাজি,ধীরে ধীরে বেপরওয়া। আর এভাবেই প্যানা সর্বস্ব রাজনীতিতে সুবিধাবাদিরা জায়গা দখল করে নিচ্ছে দেশের সর্বত্রই । বিশেষ করে ক্ষমতাশীন রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ ও বিভিন্ন অংগ সহযোগী সংগঠনে নানা কৌশলে যোগদানের মধ্যে দিয়ে । মুলত এরা অনুপ্রবেশকারী,সুযোগসন্ধানী, এদের সকল দলের সাথে সখ্যতা আছে। অনুপ্রবেশকারিরা রাতারাতি বড়নেতা হিসাবে নিজেকে জাহির করে নানা কৌশলে টাকার পাহাড় জমাতে চায়। যার কারনে প্রশাসনের কাছে বড় বড় কাজ আদায় করতে,চাঁদাবাজিতে সুবিধা নিতে নেতাদের ছবি ব্যবহার করে প্যানায় প্যানায় ভরে ফেলেছে গোটা এলাকা । খুলনার সকল উপজেলা ও পৌরসভায় এ জাতীয় প্যানার ছড়াছড়ি লক্ষ্য করা গেলেও দাকোপ ও বটিয়াঘাটায় এদেও সংখা বেশী হলেও দাকোপ উপজেলায় এ প্যানা বাহিনী সকল রেকর্ড ভেংগে ফেলেছে, অন্য দল থেকে সদ্য আসা বিতর্কিত এ সকল সুবিধাবাদিরা ক্ষমতাশীন দলের নেতার পরিচয়ে প্যানা,ব্যানার,পোষ্টার ও তোরণ গেট করে ছেয়ে ফেলেছে গোটা উপজেলার সদর থেকে প্রত্যান্ত গ্রাম গাঁ সুন্দরবন পর্যন্ত। এ সকল অনুপ্রবেশকারিরা অধিকাংশই বিএনপি ও জামাত থেকে আসা । এ সকল লোকজন নিজেকে আবার নিজের প্যানায় নিজেকে প্রতাপশালী ক্ষমতাধর বলে জাহির করছে যা সত্যিই হাস্যকরও বটে । এ সকল তাল তামাসা মোড়ে মোড়ে দেখলেও নেতারা কিছুই বলে না । খোজ খবর নিয়ে জানাগেছে অন্যদল থেকে আসা এ জাতীয় নেতারা ক্ষমতাসিনদের জন্য সার্বক্ষনিক বেশ টাকা খরচ করে থাকে যার কারনে দলের পুরানদের থেকে নবাগতরাই নেতাদের কাছে ভাল । ত্যাগীনেতাদের দুরে ঠেলে দিয়ে এদের ব্যবসা বানিজ্য করা সহ সকল সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে আর প্রকৃত নেতারদের ঠেলে দেওয়া হচ্ছে দুরে আর সকল বিষয় প্রতিবাদ করলে তাদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে অনেকে এ প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করেছে। এ সকল ব্যাপারে সাবেক ছাত্র নেতা ও আওয়ামীলীগনেতা বাজুয়ার অচিন্ত্য কুমার সাহা ও তৃন্নমূল পর্যায়ের প্রকৃত মুজিব সৈনিক সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব শ্রীনগরের প্রসেনজিৎ রায়ের সাথে আলাপ হলে জানান আওয়ামীলীগের ত্যাাগী নেতাকর্মীরা কেউ আর এখন আওয়ামীলীগে নাই, দাকোপের আওয়ামীলীগ চলছে ভিন্ন দল থেকে আসা বিশেষ করে বিএনপি,জামাত ও স্বাধীনতা বিরোধী পরিবার থেকে আসা নবাগতদের দিয়ে, আর দীর্ঘকালের প্রকৃত ত্যাগীনেতাদের কমিটি থেকে বাদ দিয়েছে,আর ওই কমিটির বিরুদ্ধে বর্তমানে সাবেক এমপি ননী গোপাল মন্ডলের নেতৃত্বে জোর আন্দোলন চলছে গোটা উপজেলা ব্যাপি ,সর্বস্তরের জনগনও সাড়া দিয়ে মাঠে নেমে পড়েছে ।