গোলাম মোস্তফা খান, দাকোপ : খুলনার স্হানীয় ভাষায় যাকে বলে ফুছকে নেতা, কুচো নেতা, পাতি নেতা, এমনকি হাইব্রিডরা শুধু নয় সুন্দরবনের ডাকাত থেকে শুরু করে ঘাটেরমাঝি,ঘাটের আদায়কারি, জেলে,মুটে, ভ্যানচালক, কালোবাজারী, ট্রলার মালিক, নৌকারমালিক, ভ্যানমালিক, দোকানমালিক, এমনকি ভিডিপির তথাকথিত ভূয়া কমান্ডার পর্যন্ত নেতাদের ছবি সম্বলিত বড় বড় প্যানা সেটেছে দাকোপ সদর থেকে শুরু করে সুন্দরবন পর্যন্ত। এরা সকলে বর্তমানে নেতা তাও আবার ক্ষমতাসীন মূল দল ও তার অংগ সহযোগী সংগঠনের নেতা। যেহেতু প্যানা সেটেছে বড় বড় এ জন্য এদের অনেক ক্ষমতা,এ সকল নেতাদের আয়ের তেমন কোন উৎস না থাকলেও এদের পোষাক আশাক,চলাফেরায় বেশ জমিদারি জমিদারি ভাব বলে অনেকে মন্তব্য করে থাকে কিন্তুএদের চলার,খাওয়ার এত টাকা আসে কিভাবে এবং কোথা থেকে সেটাই প্রশ্ন। এরা যে লীগই হোকনা কেন সহযোগী সংগঠনের যে কোন কমিটির কোথাও নাম থাকলেই হোল,শুরু হয়ে যাবে প্যানা তৈরী ,লাগানো পরবর্তীতে গ্রুপ গঠন ও তারপর চাঁদাবাজি । এটাই এদের সিষ্টেম বলে এলাকার অনেকে অভিযোগ করেছে। কমিটিতে ডুকা মানেই নেতা বনে যাওয়া এ কারনে যে চ্যানেলেই হোক আর যত টাকা লাগুক কমিটিতে নাম উঠানো বড় কথা এ কারনে সহযোগী সংগঠনে নাম লেখানোর হিড়িক চলছে গত ৩/৪ বছর যাবৎ। বিগত কয়েকটি কলেজ ও পৌরসভা ইউনিটের রাতারাতি কমিটি গঠন আবার ভেংগে দেওয়া আবার গঠনরে বিষয়টি সকলে সুন্দরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছিল এবং প্রচুর টাকার যে ছড়াছড়ি হয়েছিল সকলেরই তা জানা, এমনিভাবে কমিটিতে নাম তোলা প্যানা লাগানো এবং চাঁদাবাজির মধ্যদিয়েই চলছে তথাকতিথ ক্ষমতাসিন ব্যাক্তিদের নেতৃত্বে খুলনার দাকোপের রাজনীতির নামে অপরাজনীতি।