খুলনায় মাদকের অন্যতম আখড়া ‘বালুর মাঠ’

প্রকাশঃ ২০১৭-১০-২৮ - ১৯:৫৫

খুলনা : নগরীর নিউমার্কেটস্থ শিল্প ব্যাংক ভবনের (১০ তলা) পিছনে বালুর মাঠ মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের আনাগোনায় মাদকের অভয়ারণ্যে পরিণত হচ্ছে এলাকাটি। এর ফলে ওই এলাকায় বৃদ্ধি পাচ্ছে ছিনতাই-চুরিসহ নানা ধরণের অপরাধ। যদিও পুলিশ বলছে মাদক রোধে সেখানে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, খুলনার এক সময়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদারের ঘাট এলাকার পাশেই প্রভাতী স্কুলের মাঠ। যেটি বালুর মাঠ নামেই পরিচিত। প্রভাতী স্কুলের পাশে ছিল শীর্ষ ওই সন্ত্রাসীর অস্ত্রের গোপন আস্তানা। যদিও এরশাদ শিকদারের অধ্যায় শেষ হয়েছে অনেক আগে। কিন্তু থেমেই নেই ওই এলাকার অপরাধ। বর্তমানে ওই স্থানটিতে ১০-১২ জন মাদক ব্যবসায়ী নির্বিঘেœ ইয়াবা ব্যবসা পরিচালনা করছে। সন্ধ্যার পর ওই এলাকায় ঢুকলেই দেখা যায় মাদক সেবনের দৃশ্য। অপরিচিত লোকজন গেলে পড়তে হয় ছিনতাইকারীর কবলে। মাদকের অর্থ যোগাতেই তারা ছিনতাইয়ে লিপ্ত হচ্ছে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। গত ১৭ জুলাই রাতে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে ২ মাদক বিক্রেতা নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন গুড্ডু বাবু (৩০) ও আল মামুন (২৫)। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র গুলি ও বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, মাদকের পাশাপাশি ওই এলাকায় অনেক অপরাধ বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে রেললাইনের পাশে বস্তিতে অনেক অপরাধীর আনাগোনা। তাদের আসা যাওয়ার ফলে মাদকের সাথে পাল্লা দিয়ে ভিন্ন অপরাধের তৎপরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা মাসোয়ারা নিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করছে। তাদের কারণে ধরা ছোয়ার বাইরে এসব অপরাধী।
এ বিষয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এএম কামরুল ইসলাম পিপিএম জানান, ওই এলাকায় মাদক ব্যবসা দীর্ঘদিনের। যেটি বন্ধ করতে পুলিশের সাথে গোয়েন্দা পুলিশও কাজ করছে। ইতিমধ্যে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। আমরা খুলনাকে মাদকমুক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছি। নিয়মিতভাবে নগরীতে অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করা হচ্ছে। মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারে প্রভাতী স্কুলের মাঠেও অভিযান পরিচালনা করছি। আশাকরি শীঘ্রই আরও মাদক ব্যবসায়ী আটক হবে।