খুলনা : খুলনায় স্কুলছাত্রী শামসুন নাহার চাঁদনীর (১৩) আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় আওয়ামী লীগ নেত্রী মাফিয়া কবিরকে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে খুলনার অতিরিক্ত মহানগর আদালতের বিচারক সুমি আহমেদ এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লবণচরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইউসুফ আলী মাফিয়াকে জিজ্ঞাবাদের জন্য আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
আদালতে আসামি পে দাঁড়িয়ে রিমান্ডের বিরোধিতা করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও নগর যুবলীগের আহবায়ক অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান পপলুসহ এক ডজন আইনজীবী। বাদীপে ছিলেন আদালতের সিএসআই জোসনা বেগম।
আসামি মাফিয়া কবির বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য। সে দুই বার ওই ইউনিয়নের সংরতি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করে পরাজিত হয়। স্থানীয় হরিণটানা রোডের বাসিন্দা মাফিয়ার স্বামী কবির হোসেন বিদেশে থাকেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ইউসুফ আলী বলেন, মাফিয়া কবিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তবে শুভসহ পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১৩ অক্টোবর রাতে চাঁদনীর গলায় ফাঁস লাগানো লাশ উদ্ধার করা হয়। তার পরিবারের দাবি, বখাটে শামীম হাওলাদার শুভ ও তার সহযোগীদের উত্যক্তের শিকার হয়ে চাঁদনী আত্মহনন করে। চাঁদনী খুলনা সরকারি করোনেশন বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। সে নগরীর লবণচরা থানার হরিণটানা গ্রামের সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট রবিউল ইসলামের মেয়ে। এই ঘটনায় ১৪ অক্টোবর চাঁদনীর বাবা রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে লবণচরা থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় শামীম হাওলাদার শুভ, তার বাবা শাহ আলম হাওলাদার, মা জাকিয়া বেগম, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী মাফিয়া কবির ও হাসিবসহ অজ্ঞাত আরো তিন-চারজনকে আসামি করা হয়। ওই দিনই পুলিশ শুভ’র সহযোগী মাফিয়া কবিরকে গ্রেপ্তার করে। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে।