খুলনা : খুলনা পাবলিক কলেজের ছাত্র রাজিন হত্যা মামলার ৫ আসামী আইনের ফাঁক গলে জামিন পেয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আইনজীবীরা। একই সাথে আসামীদের বয়স ও আদালতে তাদের জবানবন্দি নিয়েও ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আজ (রোববার) নিহতের পরিবার ও আইনজীবীর পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের আহবান করা হয়েছে।
এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান শনিবার দুপুরে নিহত রাজিনের মা, নগরীর পুলিশ লাইন্স স্কুলের তিন শিক্ষক ও নিহতের সহপাঠি মৌমিতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।
এজাহারে এই মেয়েকে বিরক্ত করার ঘটনায় প্রতিবাদ করায় মূল আসামী ফাহিম ইসলাম এ হত্যাকান্ড ঘটায় বলা হলেও জিজ্ঞাসাবাদে মৌমিতা ও তার মা স্কুল শিক্ষিকা কারিমা বেগম ফাহিম ইসলাম নামে কাউকে চেনেন না বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। এতে হত্যার ঘটনায় আবারো বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
মামলার আসামী ফাহিমের চাচা মুনসুর আলম জানান, হত্যাকান্ডের সাথে ফাহিম নামের এক যুবক জড়িত। যাকে বখাটেপনার কারনে পুলিশ লাইন্স স্কুল থেকে কয়েকবছর আগে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এজাহারে উল্লেখিত ফাহিম এই ফাহিম নয়। সে কখনো এই স্কুলে পড়েনি ও মৌমিতা নামের কাউকে চেনে না।
বাদী পক্ষের আইনজীবী শেখ অলিউল ইসলাম দাবি করেছেন, পুলিশের সাজানো এজাহারে আসামী আসিফ প্রান্ত আলিফ, জিসান খান ও তারিন হাসান রিজভীর অপরাধের বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি। এছাড়া ইচ্ছাকৃতভাবে কয়েকজনের বয়স কমানো হয়েছে। ফলে তারা আদালত থেকে সহজে জামিন পেয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০ জানুয়ারি কলেজ ক্যাম্পাসে ছুরিকাঘাতে নিহত হয় পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের সপ্তম শ্রেনির ছাত্র ফাহমিদ তানভির রাজিন। পুলিশ প্রথমে মেয়েঘটিত কারণে এ হত্যাকান্ডে হয়েছে বলে জানায়। পরে সাব্বির হাওলাদার নামের এক বখাটেকে আটকের পর খালিশপুর থানায় সংবাদ সম্মেলন করে এলাকা ভিত্তিক গন্ডগোলে রাজিন নিহত হয়েছে বলে দাবি করে।