খুলনা : খুলনার ভৈরব নদ থেকে দেড় লাখ লিটার ডিজেলসহ এমটি রাইদা নামে একটি তেল ট্যাংকার জব্দ করেছে র্যাব-৬ এর সদস্যরা। রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এ বিপুল পরিমান চোরাই তেল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত তেলের মূল্য আট কোটি টাকার মতো বলে জানা গেছে। এসময় ট্যাংকারে থাকা ১৪ সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়। পরে চোরাই তেলের ক্রেতা সুমনকেও আটক করা হয়।
র্যাব-৬ এর স্পেশাল কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এনায়েত হোসেন মান্নান জানান, শনিবার রাতে খবর পেয়ে র্যাব-৬ এর সদস্যরা খালিশপুর এলাকায় ভৈরব নদে তল্লাশি চালায়। রাত ২টার দিকে ক্রিসেন্ট জুট মিলের পেছনে ভৈরব নদের মাঝখানে ‘এমটি রাইদা’ নামের ট্যাংকারটি পাওয়া যায়। এটির ধারণ মতা ২০ লাখ লিটার। ট্যাংকারটি ২৭ অক্টোবর থেকে এখানে রয়েছে। ইতিমধ্যেই ট্যাংকার থেকে বিক্রি করাসহ বিভিন্ন স্থানে অনেক ডিজেল সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ট্যাংকারে থাকা ১৪ জনকে র্যাব হেফাজতে রাখা হয়েছে। এদের কয়েকজনই জিজ্ঞাসাবাদে ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম থেকে চুরি হওয়া ডিজেল সম্পর্কে তথ্য দিয়েছে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নগরীর কাশিপুর এলাকার যমুনা তেল কোম্পানীর ডিপো এলাকার সুমন নামে এক ব্যবসায়ীর গুদামে অভিযান চালিয়ে আরও ৬ হাজার লিটার চোরাই তেল জব্দ ও ব্যবসায়ী সুমনকেও আটক করা হয়। তবে অপর তেল ব্যবসায়ী পালিয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণন কোম্পানি যমুনা অয়েল কোম্পানির প্রধান ডিপো থেকে প্রায় এক কোটি টাকার জ্বালানি তেল (ডিজেল) গায়েব করে দেওয়া হয়। দু’টি জাহাজে বোঝাই করে এই তেল পরিবহন করা হয়। দেড় লাখ লিটারেরও বেশি জ্বালানি তেল দুইটি জাহাজে লোড করে পাচার করে দেওয়া হয়। ‘এমটি রাইদা’ গত ২৫ অক্টোবর দৌলতপুর ডিপোর জন্য জ্বালানি তেল বোঝাই করে।
যমুনা অয়েল কোম্পানির জিএম (মার্কেটিং) মীর আলী রেজা গণমাধ্যমের কাছে দু’টি জাহাজের হিসেবে গোলমাল হওয়ার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ঘটনাটি শোনার সাথে সাথে আমরা লোক পাঠিয়েছি। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।