খুলনা : খুলনা জেলা সদর কোর্টের পুলিশ ইন্সপেক্টর এর মুন্সী প্রভাষ চন্দ্র মল্লিক (কংনং-১০৫১) এর বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজের অজুহাত দেখিয়ে জেলা থানার জিআরও কাছ থেকে উৎকোচ আদায়ের অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত প্রতিবেদন ২-১ দিনের মধ্যে জমা দিবেন তদন্ত কর্মকর্তা। এদিকে বিষয়টি ধাপা-চাপা দেয়ার জন্য অভিযুক্ত প্রভাষ উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করার জন্য দৌড়-ঝাপ শুরু করেছেন।
এ ব্যাপারে তদন্তকারী পুলিশের হেডকোয়ার্টার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) ওয়াসিম ফিরোজ সোমবার সকালে সার্বিক বিষয়ে বলেন, কোর্ট মুন্সী প্রভাষের বিরুদ্ধে তদন্ত এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আজ কালকের মধ্যেই এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে। তদন্তে অভিযোগ প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক বদলীর ব্যবস্থা ও বিভাগীয় মামলার সুপারিশ করা হবে।
এদিকে অভিযুক্ত জেলা সদর কোর্টের পুলিশ ইন্সপেক্টর এর মুন্সী প্রভাষ চন্দ্র মল্লিক (কংনং-১০৫১) বিষয়টি ধামা-চাপা দেয়ার জন্য পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করার জন্য অব্যাহত রয়েছেন। সে দীর্ঘ ৯-১০ বছর ধরে একই জায়গায় কর্মস্থলে থাকার কারণে অনেককে ম্যানেজ করা তার কাছে মামুলিক বিষয়।
উল্লেখ্য, গত ‘খুলনা জেলা সদর কোর্টের পুলিশ ইন্সপেক্টর এর মুন্সী প্রভাষের বিরুদ্ধে উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ’ শীর্ষক শিরোনামে সংবাদ গত ৭ জানুয়ারি প্রকাশিত হওয়ায় অভিযোগের তদন্ত শুরু করেন। এর পরে অভিযুক্ত প্রভাষ চন্দ্র মল্লিক উৎকোচ নেয়ার একটি তথ্য প্রমান ভিডিও চিত্র পুনরায় স্থানীয় একটি পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়। জেলা সদরের মুন্সী কনস্টেবল প্রভাষ ৮-৯ বছর একই স্থানে রয়েছেন। জিআরও দিঘলিয়া কোর্টের এএসআই দীপংকর। সে কনস্টেবল পদে থাকার পর থেকে এখন পর্যন্ত একই স্থানে তার ১৪-১৫ বছর কেটে গেছে। কিন্তু তাকে বদলি করা হয়নি। জিআরও ডুমুরিয়া কোর্টে কনস্টেবল তাইফুর (কং ৫৪১), জিআরও দাকোপ কোর্টে সামসুর (কং ৪৪৪)। তারা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে একই স্থানে কর্মরত আছেন। একই স্থানে দীর্ঘ বছর থাকার সুবাদে তারা বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে পড়ছেন।
জেলা পুলিশ সুপার নিজামুল হক মোল্লা বলেন, সর্বোচ্চ একই স্থানে কোন কর্মকর্তা ২ বছরের বেশি থাকার নিয়ম নেই। অনেক সময় কোন কর্মকর্তাকে পারিবারিক অসুবিধা ও প্রশাসনের সুবিধার্থে রাখা হয়। তিনি বলেন, কোন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ কেউ লিখিতভাবে দিলে তা তদন্ত করে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।