খুলনা জেলার মহাসড়কে বেড়েছে দূর্ঘটনা

প্রকাশঃ ২০২৩-০৮-২৯ - ১৮:১৩

হাইওয়ে পুলিশ অবিরত কাজ করছে

জুলাই ও আগষ্টে ৫৬ দূর্ঘটনা

ইউনিক ডেস্ক : খুলনা জেলার মহাসড়কে বেড়েছে দূর্ঘটনা। বিভিন্ন কারনে প্রতিনিয়ত মহাসড়কে এ দূর্ঘটনা ঘটছে। সড়ক দূর্ঘটনা এড়াতে খুলনা জেলা হাইওয়ে পুলিশ অবিরত কাজ করছে। কিন্তু সড়ক দূর্ঘটনা এড়াতে সচেতনতা বৃদ্ধি, সড়ক আইন বাস্তবায়ন এবং একটি যুগপোযুগি আইন তৈরী করা এখন সময়ের দাবী।
খুলনা-সাতক্ষীরা, খুলনা-যশোর, খুলনা-গোপালগঞ্জ, খুলনা-বাগেরহাট মহাসড়কগুলো বর্তমানে দূর্ঘটনা প্রবণ মহাসড়ক। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় মানুষ ছুটে চলছে এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। আর যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে মহাসড়কগুলো। কিন্তু এ সড়ক গুলোতে ডিভাইডার না থাকায় একমূখী হওয়াতে দূর্ঘটনার সম্ভাবনা থেকেই যায়। গতিশীল যানবাহন ক্রসিংয়ের সময়ে, সাইড মুভিং এর সময়েও দূর্ঘটনা ঘটে। এছাড়াও সাধারন মানুষের রাস্তাপাড়াপাড়ের সময়ে অসেচতনতার কারনেও দূর্ঘটনা ঘটে।
তথ্য সূত্রে, খুলনা জেলায় গত দুই মাসে মোট সড়ক দূর্ঘটনা ঘটেছে ৫৬টি। জুলাই ও আগষ্ট মাসের তথ্য প্রতিবেদনে দেখা যায়, জুলাই মাসে খুলনা জেলায় ২৭টি সড়ক দূর্ঘটনা ঘটেছে। যেখানে মামলা হয়েছে ২৩টি। অন্যদিকে, ২৯শে আগষ্ট পর্যন্ত খুলনা জেলায় মোট সড়ক দূর্ঘটনা ঘটেছে ২৯টি। যেখানে মামলা হয়েছে ২৩টি।
মহাসড়কে দূর্ঘটনার কারন বিশ্লেষন করলে দেখা যায়, চালক এবং পথচারীদের অসতর্কতার কারনেই অধিকাংশ দূর্ঘটনাগুলো ঘটেছে। বাস, ট্রাক, মোটর সাইকেলের চালকরা নির্ধারিত গতিমাত্রা না মেনেই উচ্চ গতিতে এ বাহনগুলো চালাচ্ছেন। অনেক সময়ে বাসের ড্রাইভাররা তাদের হেল্পারদের দিয়ে বাস চালাচ্ছেন। যা পুরোটাই ঝুকিপূর্ন। খুলনা-সাতক্ষীরা রুটে প্রায়ই দূর্ঘটনা ঘটে থাকে। অভিযোগ রয়েছে, সাতক্ষীরার বাসগুলোর চালকরা যাত্রী আগে উঠানোর জন্য অপর বাসের সাথে পাল্লা দিয়ে বাস চালান। এ রুটের বাস চালকরা ঝুকিপূর্ন ক্রসিং করেন। এ কারনে এই রুটে অধিকাংশ দূর্ঘটনা ঘটে। খুলনা-বাগেরহাট রুটের লকপুর- কাঠাখালি মহাসড়কটি একদিকে একমূখী , অপরদিকে অনেক ছোট। ক্রসিং এবং রাস্তাপাড়াপাড়ের কোন নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় প্রায়শই এই সড়কের দূর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়।
বিশ্লেষনে আরো দেখা যায়, অধিকাংশ বাস এবং ট্রাক ড্রাইভাররা প্রশিক্ষিত নন। অনেকে প্রশিক্ষিত হলেও সতর্ক নন। অনেক যান বাহনের ফিটনেস ব্যবহার যোগ্য নয়। তাও রাস্তায় নামিয়েছেন অনেক মালিক। এসব কারনে দূর্ঘটনার সম্ভাবনা থেকেই যায়। চালকদের অনিয়ন্ত্রিত গতির কারনে শুধুৃ মানুষই নয়, নিরীহ পশুরও দূর্ঘটনায় মৃত্যু হয়।
নাগরিক নেতা বাবুল হাওলাদার বলেন, মহাসড়কগুলো একমুখী থেকে বহুলেন করলে ভালো হয়। চালকদের অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো বন্ধ করতে হবে এবং তাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। চালকরা অনেক সময় হেল্পারদের দিয়ে যাত্রীবাহী গাড়ি চালায়। যা অপরাধ। এ অপরাধকে নিয়ন্ত্রন করতে হবে। অনেক সময় চালকরা বিশ্রাম পান না। ক্লান্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোও দূর্ঘটনার কারন হয়ে দাড়ায় অনেক সময়। এছাড়াও সাধারন মানুষদের সচেতন হতে হবে। অনেক সময় পথচারীদের অসেচতনতার কারনে দূর্ঘটনা ঘটে।
খুলনা জেলা হাইওয়ে পুলিশ সুপার মো. ইব্রাহিম খলিল দৈনিক দেশ সংযোগকে বলেন, দূর্ঘটনা এড়াতে সতর্কতা এবং মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন সভা ও সেমিনার করা হচ্ছে। সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সকল যানবাহন চালকদের নিয়ে বিভিন্ন সভা করা হয়। যানবাহনের এবং চালকের কাগজপত্র চেক করা হয়। তিনি আরো বলেন, দূর্ঘটনা ঘটলে নিয়মিত মামলা করা হচ্ছে। মহাসড়কে দূর্ঘটনার কারন খুজে তার ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।