খুলনা : খুলনা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির ফেব্রুয়ারি মাসের সভা রবিবার সকালে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোঃ আমিন উল আহসান।
সভার শুরুতে সভাপতি জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আসন্ন খুলনা সফরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় এবং যে সব দপ্তরের এমন প্রকল্প রয়েছে তার তালিকা করে জেলা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করার অনুরোধ জানান। এছাড়া সভায় প্রাণীসম্পদ অফিসের অভ্যন্তরে জেলা পরিষদের পরিত্যক্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙ্গে ফেলতে জেলা পরিষদ ও প্রাণীসম্পদ অফিসের মধ্যে সমন্বয়ের পরামর্শ দেয়া হয়। সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে পর্যটকের ভ্রমণের সময় লঞ্চের শব্দ এবং গানবাজনার জন্য মাইকের ব্যবহারে দিন দিন বনের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, সুন্দববন পশ্চিম বন বিভাগকে এ বিষয়ে কঠোর নজরদারীর জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। বয়রা নার্সিং ইনস্টিটিউটের জমি হস্তান্তর সংক্রান্ত সমস্যা দ্রুত সমাধানে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে সভাপতি অনুরোধ জানান।
বিভিন্ন উপজেলাতে কোন কোন স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা শিক্ষার্থীর তুলনায় অপ্রতুল হওয়ায় শিক্ষাদান কর্মসূচী ব্যহত হচ্ছে। সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যানদেরকে সমন্বয়ের মাধ্যমে চাহিদা বিবেচনা করে শিক্ষক বদলির বিষয়ে সুপারিশ প্রদানের অনুরোধ জানান। তিনি স্কুলে ছাত্রদের নিয়মিত উপস্থিতি এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের সচেতনতামূলক বক্তব্য প্রদানের বিষয়টি মনিটরিং করার জন্য শিক্ষা কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানান।
সভায় ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এ সংক্রান্ত আলোচনায় বলা হয়, প্রথমত: পতাকাটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পতাকা দন্ডের শীর্ষ পর্যন্ত উত্তোলন করতে হবে। এরপরে পতাকা দন্ডের উপর থেকে পতাকার প্রস্থের সমান নিচে নামিয়ে বাঁধতে হবে। দিনশেষে পতাকা নামানোর প্রাক্কালে পতাকাটি পুনরায় শীর্ষে উত্তোলন করে নামাতে হবে। শহীদ দিবস ও জাতীয় শোক দিবসে বা সরকার প্রজ্ঞাপিত অন্যান্য দিবসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। সরকারের অনুমতি ব্যতীত জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা যাবেনা। জাতীয় পতাকা বিধিমালা-১৯৭২(সংশোধিত-২০১০) অনুযায়ী কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান জাতীয় পতাকা ব্যবহারবিধি লঙ্ঘন করলে তার জন্য সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদন্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত হবেন।
সভায় জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), সিভিল সার্জন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যগণ অংশগ্রহণ করেন।