মোতালেব সভাপতি মিজান সম্পাদক প্রার্থী

খুলনা অফিস : খুলনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনকে সামনে রেখে ব্যাপক তোড়জোড় শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সম্পাদকসহ অন্যান্যরা তাদের পছন্দের প্রার্থীর নাম জোরেসোরে বলে চলেছেন।
সূত্রমতে, বিগত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় গত ১২ জুন ২০০৫ সালে। এ সময় মালিক সরোয়ার উদ্দিনকে আহবায়ক ও মো: মোতালেবসহ মোট ৪ জনকে যুগ্মআহবায়ক করে ৫১ সদস্যের একটি আহবায়ক কমিটি গঠন হয়। যার অনুমোদন দেন বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবককলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ। দীর্ঘ ১৪ বছর পর আসন্ন সম্মেলনকে ঘিরে জেলা উপজেলায় আনন্দের শেষ নেই। বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ খুলনা জেলা সম্মেলনে নতুন মুখের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেন বিভিন্ন উপজেলার নেতৃবৃন্দ। গত জুলাই মাসে উপজেলার নেতৃবৃন্দ দু’দফা বৈঠকও করেন বলে সূত্রটি জানায়। এসময় তারা তাদের পছন্দের প্রার্থী নিয়ে কথাও বলেন।
কথা হয় রূপসা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি রুহুল আমীন রবি, বটিয়াঘাটার হুমায়ুন কবীর, তেরখাদার আনিছুর রহমান আনিছ, দাকোপের আহবায়ক জিএম এহতেশাম রেজা, দিঘলিয়ার আবুল কালাম আজাদ, ডুমুরিয়ার যুগ্মআহবায়ক রকিবুল ইসলাম ও কয়রার স্বেচ্ছা সেবকলীগ নেতা আক্তারুল ইসলামের সাথে। তারা বলেন, দীর্ঘদিন পর হলেও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন হতে চলেছে যেনে আমরা উৎসাহিত। আমরা চাই সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুসারে আসন্ন সম্মেলনে কাউন্সিলের মাধ্যমে আগামী নেতৃত্ব নির্বাচিত হোক। সেক্ষেত্রে আমরা সভাপতি হিসেবে মো: মোতালেব হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মিজানুর রহমান মিজানকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাই। কারণ মোতালেব ও মিজান দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত। তারা এ সংগঠনের তৃর্ণমূল থেকে উঠে এসেছেন। তাদের মাধ্যমে আগামীতে একটি সুন্দর রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরী করা সম্ভব।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান যুগ্মআহবায়ক মো: মোতালেব হোসেন বলেন, তৃর্ণমূল পর্যায় থেকে কাজ করে এপর্যন্ত এসেছি। আগামী সম্মেলনে আমি জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দের দাবীর মুখে সভাপতি প্রার্থী হতে চলেছি। সম্মেলনের সময় এগিয়ে এলে সবকিছু পরিস্কার হয়ে উঠবে।

এ ব্যপারে কথা হয় বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান শেখ মিজানের সাথে। তিনি বলেন, ছাত্র জীবন থেকে জাতীর পিতার আর্দশকে বুকে লালন করে স্বাধীনতার স্বপক্ষে সব সময় কাজ করে চলেছি। জেলার নয় উপজেলায় এই সংগঠনের শীর্ষ পদে থাকা নেতারা সংগঠনের প্রয়োজনে যদি আমাকে চায়, তাহলে আবশ্যই আমি জেলার সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী।  দলের প্রয়োজনে তৃর্ণমূলের নেতার যা সিদ্ধান্ত গ্রহন করবে দলের একজন কর্মী হিসেবে আমি সেটাই মেনে নেবো।

বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ খুলনা জেলা শাখার আহবায়ক মালিক ছরোয়ার উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমি জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক হিসেবে দায়ীত্ব পালন করেছি। পরবর্তীতে আমি আওয়ামী লীগের সদস্য হওয়ায়  সম্মেলনের মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দায়িত্ব ছেড়ে দেবো। তবে আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন শেষ করা হবে।