খুলনা বিভাগে অভ্যন্তরীণ আমন ধান ও চাল সংগ্রহ হতাশাজনক

প্রকাশঃ ২০২৩-০২-০৭ - ১১:৩৭

খুলনা : খুলনা বিভাগে চলছে অভ্যন্তরীণ আমন ও সিদ্ধ চাল সংগ্রহ। ২০২২-২৩ মৌসুমে আমন ধান ও চাল ১৭ নভেম্বর থেকে সংগ্রহ শুরু হয়েছে। চলবে  ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকার প্রতিকেজি ধান ২৮ ও চাল ৪২টাকা দরে ক্রয় করছে। ৭৯টি সরকারি গুদামে এই ধান ও চাল সংরক্ষণ করা হবে। ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০৪৬৯ মেট্রিকটন। চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫৮৬০ মেট্রিকটন। সরকারের সাথে চুক্তি হয়েছে ৫২৯০২ মেট্রিকটন ৩৪০ কেজি। সংগ্রহ করা হয়েছে ৩৬৫০৮ মেট্রিকটন ৯০০ কেজি। সাতক্ষীরায় ১ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। আর কোন জেলায় ধান সংগ্রহ হয়নি। তবে এ পর্যন্ত ৫৫শতাংশ সিদ্ধ চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। সরকার ৭৩৪টি মিলের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। কৃষক বলছেন খোলা বাজারে চাল ও ধানের মূল্য বেশী হওয়ার কারণে সরকারের কাছে ধান ও চাল বিক্রি করতে আগ্রহী হচ্ছে না। খোলাবাজারে প্রতিকেজি ধান বিক্রি হচ্ছে ৩৫টাকা। চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা চলতি মৌসুমে ধান ৪০৪৬৯ ও চাল ৬৫৮৬০ মেট্টিকটন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ মৌসুমে সংগ্রহ হতাশাজনক। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

খুলনা আঞ্চলিক খাদ্য নিয়স্ত্রক দপ্তর সূত্র জানান, এ মৌসুমে খুলনা জেলায় চলতি অভ্যন্তরীণ আমন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০৩২ ও সিদ্ধ চাল ৯০৭১ মেট্টিকটন। চুক্তিকৃত মিল রয়েছে ৫৭টি। মিল। চাল সংগ্রহের চুক্তি হয়েছে ৯০৪১ মেট্রিক টন ৩৪০কেজি। সংগ্রহ করা হয়েছে ৫১৮৫ মেট্রিক টন ২৩০ কেজি। বাগেরহাট জেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩৮৩২ ও চাল ৩০৮৭ মেট্রিকটন। চুক্তিকৃত মিল রয়েছে ৮টি। চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৩০৮৭ মেট্রিকটন। চুক্তি সংগ্রাহ করা হয়েছে ২৫৭৪ মেট্রিকটন ৩৯০ কেজি। সংগ্রহ করা হযেছে ১৭৮৮ মেট্রিকটন ৬০০ কেজি। সাতক্ষীরা জেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৪৪১২ ও চাল ৭০৬৮ মেট্রিকটন। এর মধ্যে ১ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭০৬৮ মেট্রিকটন। চুক্তিকৃত মিল রযেছে ১৯৮টি। চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ৭৫১৮ মেট্রিকটন ৩৯০কেজি। মিল মালিকদের কাছ থেকে সংগ্রহ কর ৫৭২৪ মেট্রিকটন ২৯০ কেজি। যশোর জেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৪৯৯৮ এবং চাল ৯৯৯৯ মেট্রিকটন। চুক্তিকৃত মিল রয়েছে ৮৭টি। মিল মালিকদের সাথে চুক্তি হয়েছে ৭৭৩২ মেট্রিকটন ১৪০টন। সংগ্রহ হয়েছে ৫৬০৯ মেট্রিকটন ৫৯০কেজি।  ঝিনেদা জেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৬৭০৩ ও চাল ৮২২৯ মেট্রিকটন। চুক্তিকৃত মিল রয়েছে ৮০টি। মিল মালিকের সাথে চুক্তি হয় ৩৩১৭ মেট্রিকটন ৯৮ কেজির। সংগ্রহ করা হয়েছে ২৩২৩ মেট্রিকটন ৫৬০ কেজি। মাগুরা জেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩৭৭০ ও চাল ৩২৮৪ মেট্রিকটন। চুক্তিকৃত মিল রয়েছে ৩০টি। মিল মালিকদের সাথে চুক্তি হয় ১২৫১ মেট্রিক টন ৪২০ কেজি। সংগ্রহ করা হয়েছে ৬২১ মেট্রিকটন ১৩০কেজি। নড়াইল জেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২৩৩২ ও চাল ১৭৪৯ মেট্রিকটন। চুক্তিকৃত মিল রয়েছে ২৩টি। মিল মালিকের সাথে চুক্তি হয় ১৪২৪ মেট্রিকটন ৯১০ কেজি। সংগ্রহ করা হয়েছে ১২৩৫ মেট্রিকটন ৯৭০ কেজি। কুষ্টিয়া জেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৫৫৬৮ ও চাল ১৮৬৩৬ মেট্রিকটন। চুক্তিকৃত মিল রয়েছে ১৮৩টি। মিল মালিকের সাথে চুক্তি হয় ১৭৮০৮ মেট্রিকটন। সংগ্রহ করা হয়েছে ১২৫১৯ মেট্রিকটন ৮৭০ কেজি।  চুয়াডাঙ্গা জেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২২৫৫ ও চাল ৩৮৩৪ মেট্রিকটন। চুক্তিকৃত মিল রযেছে ৬৭টি। মিল মালিকের সাথে চুক্তি বদ্ধ হয়েছে ২১৯৯ মেট্রিকটন ৬০ কেজি। সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪৬৫ মেট্রিকটন ৯৫০ কেজি এবং মেহেরপুর জেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রযেছে ১৫৬৭ ও চাল ৯০৩ মেট্রিকটন। চুক্তিকৃত মিল রয়েছে ১টি। মিল মালিকের সাথে চুক্তি হয়েছে ৩৪ মেট্রিকটন ৭১০ কেজি। সংগ্রহ করা হয়েছে শতভাগ। ২০২১-২২ মৌসুমে আমন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০৫৯৪৮ মেট্টিকটন। সংগ্রহ হয়েছেল ১০৫৩৮১ মেট্টিকটন। কম সংগ্রহ হয়েছে ৫৫৯ মেট্টিকটন।

মোরেলগঞ্জের পশ্চিম বিশারীঘাটা গ্রামের কৃষক মো. আব্দুল হালিম হাওলাদার বলেন, খোলা বাজারে মূল্য বেশী হওয়ার কারণে কৃষক সরকারের কাছে বিক্রি করতে চাচ্ছে না। এ বছর বৃষ্টি কম হওয়ার কারণে সেচ দিয়ে ধান চাষ করতে হয়েছে। ফলে এই উৎপাদন খরচ বেশী হয়েছে। তা ছাড়াও পরিবহনের ঝামেলা থাকে।

খুলনা বিভাগীয় আঞ্চলিক খাদ্য নিয়স্ত্রক মো. আব্দুস সালাম বলেন, এখনো সময় আছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শতভাগ সংগ্রহ হবে।