খুলনা মহানগর যুবলীগের নেতৃত্বে আসতে পারেন দুই ছাত্রলীগ নেতা

প্রকাশঃ ২০২৩-০১-১৯ - ১৭:২৫

ইউনিক ডেস্ক : আগামী ২৪ জানুয়ারি মহানগর আওয়ামী যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। নগর যুবলীগ পেতে যাচ্ছে তাদের অভিবাবক। সভাপতি ও সম্পাদক পদে আসছে ক্লিন ইমেজের মহানগরের সাবেক দুই ছাত্রলীগ সভাপতি। দীর্ঘদিন ধরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় নতুনরা আসতে পারছেন না নেতৃত্বে। এ নিয়ে সাবেক যুবনেতারা নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলেও সম্মেলনের ঘোষণায় দলীয় কার্যালয়ে নতুন করে সরব হচ্ছেন তারা।

সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয় ২০০৮ সালের ৬ জানুয়ারি। ৫১ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয় আনিছুর রহমান পপলুকে। যুগ্ম-আহ্বায়ক মনোনীত হন এস এম মনিরুজ্জামান ও হাফেজ মো: শামিম। তিন মাসের মধ্যে সম্মেলন করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার কথা থাকলেও গত সাড়ে ১৪ বছরে তা করতে পারেননি তারা।

নতুন কমিটিতে সভাপতি হচ্ছেন মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সফিকুর রহমান পলাশ। আর সাধারণ সম্পাদকের পদ পাচ্ছেন বর্তমান মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন।

নতুন ও বয়সে তরুণ এই দুই নেতার রাজনীতির অঙ্গনে সুপরিচিতি রয়েছে। তাদের সাথে থাকা একঝাঁক তরুণ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর আবির্ভাব ঘটতে যাচ্ছে নগর যুবলীগের রাজনীতিতে। পলাশ-সুজন ছাত্র রাজনীতিতে সফল হওয়ার পর যুবলীগে তাদের আবির্ভাব দলের জন্য সুফল বয়ে আনবে এমন প্রত্যাশা এখন সকলেরই।

সফিকুর রহমান পলাশ ২০০৩ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে মহানগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নির্বাহী সদস্যের দায়িত্বে ছিলেন। ছাত্রলীগের নেতৃত্ব ছাড়ার পর মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে যুবলীগের কর্মকান্ডে নিজেকে সক্রিয় রেখেছেন। এছাড়াও তিনি সিটি কলেজে ছাত্র মিলনায়তন সম্পাদক ছিলেন ও দুই বার জিএস পদে নির্বাচন করেন। তাই দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মাঝে তার জনপ্রিয়তা গড়ে উঠেছে।

বর্তমান মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন পরিচ্ছন্ন ছাত্র রাজনীতির প্রতীক হিসেবে পরিচিত। শেখ সুজন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের কাছে নিজেকে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছেন। তিনি ২০১০ সালে মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ২০১৫ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন। এছাড়াও ২০১১ সালে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-পাঠাগার সম্পাদক ও পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। পারিবারিক দিক থেকেও সুজনের খ্যাতি কম নয়। তার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ শহিদুল হক ৬০ দশকের তুখোড় ছাত্রনেতা যিনি মহানগর শ্রমিক লীগেরও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।