খুলনা : খুলনা শিশু ফাউন্ডেশনের নির্বাচনে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ভোট গণনার এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে তুমুল হট্টগোল শুরু হয়। ক্ষণিকের মধ্যেই উভয় গ্রুপ একে অপরের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পরে। শুরু হয় মারামারি। এরই মধ্যে বিকট শব্দে বোমা বিস্ফোরণ হয়। ফলে উপস্থিত জনগণ দিক-বিদিক ছুটতে শুরু করে। পদদলিত হয়ে অনেকেই অহত হন। তবে প্রার্থীরা নিরাপদে ভোটকেন্দ্র ত্যাগ করেছে। নির্বাচনী ময়দানে পুলিশ সদস্যরা ঘিরে রেখেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কেন্দ্রে এসেছে। এ বিষয়ে সদর থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তার সাথে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
খুলনা শিশু ফাউন্ডেশনের নির্বাহী কাউন্সিলের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের শীর্ষ দুই নেতার নেতৃত্বে ২০ সদস্যে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। যার একটির নেতৃত্বে রয়েছেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান। অপর প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. সাইফুল ইসলাম। উভয় প্যানেলে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সমর্থিত, চিকিৎসকসহ সমাজ কর্মীরা অর্šÍভূক্ত হয়েছেন।
এদিকে অরাজনৈতিক হলেও শিশু ফাউন্ডেনের এই নির্বাচনে রাজনৈতিক রং লাগে। দলীয় রাজনীতিতে মতানৈক্যের কারণে এই নির্বাচনকে মর্যাদার লড়াই হয়ে দাঁড়ায়। গোটা নগরীতে শিশু ফাউন্ডেনের নির্বাচন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দতে পরিনত হয়। সকাল ৯টা হতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খুলনা জেলা ষ্টেডিয়ামে ভোট গ্রহণ চলে। ২ হাজার ১৮৪ জন সদস্য এর মধ্যে প্রায় ২ হাজার ভোটার ভোট দেন বলে জানা যায়।