ডুমুরিয়া : ডুমুরিয়া উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের মধ্যে অন্যতম খুলনা সাতক্ষীরা মহাসড়কের সড়ক থেকে ভায়া উপজেলার খর্নিয়া ওআটলিয়া ইউনিয়নের চাকুন্দিয়া মাদ্রাসার সামনে থেকে চুকনগর বাজার কৈয়া বাজার থেকে মোস্তর মোড় সড়কের ১কিলি মিটার পর্যন্ত এসড়কটি বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দে বেহালদশা পাশাপাশি পাশ্ববর্তী ডুমুরিয়া গোলনা থেকে ১কি.মি. সড়কের অধিকাংশই খানাখন্দ আর বড় গর্তে ভরা। প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে ছোটবড় নানা দুর্ঘটনা। এতে করে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে পথচারী, যাত্রীসাধারণসহ পরিবহন চালকদের। সড়কজুড়ে অসংখ্য খানাখন্দ। কোথাও কোথাও আড়াই ইঞ্চি থেকে সাত ইঞ্চি পর্যন্ত গর্ত। বেশ কিছু জায়গায় উঠে গেছে পিচ ও কার্পেট। বৃষ্টি হলেই এসব জায়গায় পানি জমে। যানবাহন উল্টে প্রায় প্রতিদিনই ঘটে দুর্ঘটনা। হতাহত হয় মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শিক্ষার্থী,স্থানীয় এলাকাবাসী, পরিবহন শ্রমিক ও ব্যবসায়ী। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার টিপনা নতুন রাস্তা বাজার পর্যন্ত প্রায় ৩কি.মি.একমাত্র সড়ক খর্নিয়া ইউনিয়ন পর্যন্ত উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষের চলাচলের অবলম্বন এসড়ক। এই সড়ক দিয়ে বাজারসহ বেশ কিছুমাদ্রাসা ও অসংখ্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সরকারি চাকুরীজীবি, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার লোকজনকে চলাচল করতে হয়। একমাত্র সড়ক দিয়া ঢাকা সাতক্ষীরা টু পাইকগাছায় পরিবহন ট্রাক, ট্রাক্টর, অটোভ্যান, ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস প্রতিনিয়ত চলাচল করলেও অনেক যানবাহন ইতোমধ্যেই কমে গেছে। ফলে যানবাহনের উপর নির্ভরশীল কলেজ, স্কুল ও মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থী শিক্ষক, ব্যবসায়ীসহ যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। রাস্তাটি সংস্কার কাজে নানা অনিয়ম হওয়ায় বর্তমানে কোথাও কোথাও পাকা সড়কের চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়না। প্রায় ৯কি.মি. সড়কজুড়ে কার্পেটিং উঠে ভেঙে গিয়ে বড়-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। একেকটা গর্ত মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এতে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তা খানা-খন্দে পানিতে ভরে যায়। কাঁদামাটি-পানি অতিক্রম করে যানবাহন চলাচল করতে হয়। প্রায় লাখো মানুষ নানান প্রতিকুলতা আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে এসড়কে। দেখা যায়, দু’পাশ ধসে পিচ ও পাথরের কুচি সরে যাওয়ায় দুই উপজেলার মানুষ চরম বিপাকে আছে। এসড়কে যেখানে প্রায় ৬-৭ ইঞ্চি পরিমাণ খানাখন্দ, বড় ফাটল দেখা যায়। সড়কের দু’পাশে কিছু জায়গা ধসে গেছে। দুর্ঘটনা এড়াতে সেখানে কিছু বাঁশের খুঁটিতে লাল রঙের কাপড় টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়দের ডুমুরিয়া উপজেলা বাজার পর্যন্ত যাতায়াতের প্রধান এসড়ক এখন যেন মরণফাঁদ। ২০কি.মি. দীর্ঘ এসড়ক সংস্কার এখন মানুষের প্রাণের দাবী। খর্নিয়া হায়ওয়ে পুলিশ বলছে, এই সড়কে বেহাল দশার কারণে সাধারণ থেকে সবধরনের মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ফলে এসড়কে মাঝে মাঝে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। যা থেকে এখানে হতাহতের সম্ভাবনা থেকেই যায়। স্থানীয় এলাকাবাসী আরো জানায়, এসড়কে বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন খুবই ধীরে সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করছে । এই রাস্তা প্রাকৃতিক দূর্যোগের ভাঙতেছে। এই ভাঙ্গা সড়কে খুব কষ্ট করে বড় থেকে ছোট সব ধরনের গাড়ি চলাচল করে। প্রায়ই বাস, ট্রাক নষ্ট হয়। টিপনা গ্রামের কৃষক আজাদ জানান, সড়কটি নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সংস্কার করা হয়। তাই বৃষ্টি হলেই পানির তোড়ে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়। ফলে কৃষিপণ্য গ্রাম থেকে শহরে নিতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অটোরিকশা ও ট্রাকচালকরা বলেন, এসড়কে চলার অবস্থা নেই। খানাখন্দে পড়ে অটোরিকশা উল্টে যায়। রাস্তার মাঝেই গাড়ি নষ্ট হয়। সড়কের বড় বড় আধলা ইটগুলো ট্রাকের চাকায় ঢুকে যায়। রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া যায় না। গতকাল অটোরিকশার এক যাত্রী রাস্তায় পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। খুলনা সাতক্ষীরা মহাসড়কের গোলনা নামক স্থানে পিচ না দিয়ে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ইট ব্যবহার করে কাজ করেছে বলে অভিযোগ তোলেন স্থানীয় এলাকাবাসী সরেজমিনে এরকম চিত্র ফুটে উঠেছে। বাজারের ব্যবসায়ী মোনাজাত সড়কের বেহাল অবস্থা, একদিন চুকনগর বাজারে গেলে শরীরে ব্যথার অনুভব হয়, পরক্ষণেই ব্যথানাশক ঔষধ খেতে হয়। দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের জন্য জোর দাবী জানান এলাকাবাসী। শিক্ষক মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, সড়কটি এতই খারাপ যে, শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানে যেতে চরম ভোগান্তি পেতে হচ্ছে। তাছাড়া জরুরি প্রয়োজনে রোগী কিংবা গর্ভবতী মহিলাদেরকে নিয়ে ডুমুরিয়া উপজেলা সদরে যেতে হলে জনগনকে সড়কে না গিয়ে ২-৩কিলোমিটার ঘুরে অন্য সড়কে যেতে হয়। আবার বৃষ্টি হলে বড় বড় গর্তে পানি জমে সড়ক সাগরে পরিণত হয়। মানুষের খুবই দুর্ভোগ হয়। তাই সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবী জানান। এপ্রসঙ্গে সড়ক ও জনপথ বিভাগের খুলনা নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন,এসড়কটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক, ঢাকায় প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।অনুমোদন পেলেই দ্রুত রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু হবে বলেও জানান তিনি।