গাজীরহাট বামনডাঙ্গা এলাকায় দেবর কর্তৃক ভাবিকে মারধর ও ৩ ভাই কে মারধরের পায়তারা।
এস.এম.শামীম দিঘলিয়া, খুলনাঃ দিঘলিয়া উপজেলার গাজীরহাট বামনডাঙ্গা ৮ নং ওয়ার্ড এলাকায় দেবর কর্তৃক ভাবিকে কুপ্রস্তাব ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। সুএে জানা যায় উক্ত এলাকার মৃতঃ গোলাম ফকির এর ৪ পুএ ১। হামিদ ফকির (৫৯) ২।ওহিদুজ্জামান ফকির(৫০) ৩। তৌহিদুজ্জামান ফকির (৪০) ও আকিদুল ফকির (৩০) তাদের পৈত্রিক সুএে পাওয়া জমিজমা সমান ভাবে ভাগ করে দেওয়া হয় কিন্তু ছোট্ট ভাই আকিদুল ফকির (৩০) তাদের মৃতঃ বাবার বসতভিটা বাড়ি একাই ভোগদখল করার চেষ্টা করে বিষয় টি বড় তিন ভাই বাধা প্রদান করার চেষ্টা করলে আকিদুল বিভিন্ন ভাবে উক্ত তিন ভাই কে মারধর করার পায়তারা চালায় একপর্যায়ে গ্রাম্য সালিশির মাধ্যমে মিমাংসার চেষ্টা ও করা হয় কিন্তু আকিদুল ফকির কোন সালিশি মানে না, একপর্যায়ে গত ৮ ই নভেম্বর মেঝো ভাই ওহিদুজ্জামান বাড়িতে না থাকলে সেই সুযোগে লম্পট ছোট ভাই আকিদুল তার বাড়িতে ঢুকে স্ত্রী ববিতা বেগম কে কুপ্রস্তাব দেয় মেঝো ভাবি দেবরের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়াতে আকিদুল ফকির তার উপর চড়াও হয় এবং শরীরের কাপড় চোপড় টেনে ছিড়ে ফেলে একপর্যায়ে ববিতা বেগম তার সম্মান বাঁচাতে চেষ্টা করলে আকিদুল ফকির তাকে বিভিন্ন ভাবে শারীরিক নির্যাতন করে এবং তার কাছে থাকা হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতারি ভাবে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে, ববিতা বেগম মাটিতে লুকিয়ে পড়লে আকিদুল ফকির পালিয়ে যায় এবং আহতের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে এবং তাৎক্ষণিক তাকে প্রথমে তেরখাদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল এ প্রেরণ করে। এবিষয়ে আকিদুল ফকির এর বড় ভাই হামিদ ফকির (৫৯) বাদি হয়ে দিঘলিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করে এ ঘটনার পর থেকে আকিদুল ফকির পলাতক রয়েছে। এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয় যে লম্পট আকিদুল ফকির বিভিন্ন সময় ঝোপী, দা, হাইসা নিয়ে ভাই ও ভাবিদের মারার জন্য গ্রামে তাড়া করে আসছিল। আকিদুল ফকির বর্তমানে ও দা নিয়ে ভাই দের রাস্তা আটকে মারার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এবিষয়ে গাজীরহাট পুলিশ ফাড়ি ইনচার্জ সুব্রত সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উক্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এবং আকিদুল ফকির এর বড় ৩ ভাই ও তাদের স্ত্রীগণ প্রতিবেদকদের জানান এই মুহুর্তে আকিদুল ফকির কে আটক করতে না পারলে ফাঁকা পেয়ে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে।