গ্রামীন সৌন্দয্য কাশফুল হারিয়ে যাওয়ার পথে

প্রকাশঃ ২০১৮-০১-১৪ - ২০:৩৪

ইমতিয়াজ উদ্দিন,কয়রা(খুলনা): উপকুলীয় জনপদ খুলনার কয়রা উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নে আগের মত আর চোখে পড়ে না কাশবনে কাশফুল। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিলুপ্তির পথে চরাঞ্চলের এই প্রাকৃতিক সৌন্দয্য। গ্রীষ্ম বর্ষা শীতের উপস্থিতি ভালভাবে টের পাওয়া গেলেও বিকালের সোনা রোদে অনুভূতি হয় না হেমন্ত। তবে গ্রামগঞ্জে কোকিলের কুহুতান খানিকটা জানান দেয় ঋতু রাজ বসন্তের। ঘাসের ওপর শিশির জমা শিউলি ফুল ও নদীর ধারে কাশবন হাতছানি দেয়। ঋতু বৈচিত্র্যের এই বিচিত্র রং রুপ নিয়ে এখন যেন আর ধরা দেয় না অনেক ঋতুই। কিন্তু নীল আকাশে মেঘ উড়িয়ে শরৎ এসে ঠিক ধরা দেয়। মেঘ রোদ্দুর লুকোচুরি, সাথে পাগলা হাওয়ার মাতামাতি। জীবিকার টানে উথাল-পাতাল নদীর বুকে সংগ্রামী মাঝিদের এমন সৌন্দর্য্য স্পর্শ না করলে ঋতু রাণীর আহবান নদীর ধারের কাশবনে না গেলে প্রকৃতির পাগল মানুষের যেন অতৃপ্তি থেকে যায়। তাই জীবনের ব্যস্ততাকে ছুটি দিয়ে একটু প্রশান্তির আর ভাল লাগার পরশ পেতে অনেকেই অপেক্ষা করেন বৈচিত্র্যময় শরতের জন্য। এই ঋতু বৈচিত্র্যের সাথে নদনদীর একটা গভীর সম্পর্ক রয়েছে। কয়রা উপজেলার হরিয়রপুর গ্রামের হরষিৎ মন্ডল বলেন,আগে যেমন নদীর পাড়ে প্রচুর কাশফুল ছিল এখন জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে দিনের পর দিন কাশফুলগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। সামগ্রীকভাবে বলতে গেলে নদী রক্ষা করতে পারলে ঋতুগুলোকেও রক্ষা করতে পারা যাবে বলে তিনি বলেন। ২নং কয়রা সমাজকল্যান সংঘের সভাপতি জিয়াদ আলী বলেন,বৈশ্বিক উষ্ণতায় জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রকৃতিতেও পরিবর্তন এসেছে। যার ফলে দিন দিন নিজস্ব রুপ বৈচিত্র্য হারাতে বসেছে ছয় ঋতুর এই বাংলাদেশ।