গ্রেফতার গ্রেফতার হতে পারেন কাদের মির্জা

প্রকাশঃ ২০২১-০৩-১২ - ১৫:২৮

ফেনী : অশান্ত বসুরহাটের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর অভিযান শুরু হয়েছে। এর মধ্যে একপক্ষের নেতৃত্বে থাকা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান বাদলসহ ২৮ জনকে শুক্রবার (১২ মার্চ) দুপুরে পৌরসভা ভবনে হামলা-ভাঙচুর ও গুলির মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপরপক্ষ পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন যেকোনও মুহূর্তে গ্রেফতার হতে পারেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাই কাদের মির্জা।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানায়, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা এসেছে। নির্দেশনা পেয়ে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার পর্যন্ত পৌরসভা ভবন ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ওই ভবনে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা অবস্থান করছেন। যেকোনও মুহূর্তে গ্রেফতার হতে পারেন তিনি।

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে এই প্রসঙ্গে বলেন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী এবং প্রাণঘাতী সংঘর্ষে জড়িতদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এক্ষেত্রে কারও কোনও পরিচয় দেখা হবে না। ইতোমধ্যে ২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এই অভিযান চলছে।

চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আনোয়ার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, কোম্পানীগঞ্জে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রাণঘাতী সংঘর্ষে জড়িতদের কাউকে ছাড় না দেওয়া হবে না।

দলীয় একাধিক নেতা জানান, গোটা ঘটনা তদন্তে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের প্রতি সাংগঠনিক নির্দেশনা রয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী রিপোর্টও কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী দ্রুত দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ও বসুরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের কমিটি ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোম্পানীগঞ্জে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়াতে শুরু করে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কোম্পানীগঞ্জের চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে আব্দুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় স্থানীয় এক সাংবাদিক নিহতের ঘটনায় সারাদেশে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা হয়। এরপর থেকে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বসুরহাট পৌর এলাকা। সর্বশেষ মঙ্গলবার দু’পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহতসহ অর্ধশত আহত হয়েছেন। একের পর এক হামলা, ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।