যানবাহন, হেলমেটটাকে করোনাভাইরাসের আদলে বানিয়েছেন কেউ। আবার যমদূত বা ভূত সেজে ভয় দেখিয়েও লকডাউন অমান্যকারীদের ঘরে রাখার চেষ্টা করছেন অনেকে। ভারতের উত্তর প্রদেশের আলিগড়ের অলি গলিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে মৃত্যুর দেবতা। আসলে লকডাউন অমান্যকারীদের ভয় দেখিয়ে তাড়াতে যমদূতের বেশ ধরেছে পুলিশ। পাড়ায় পাড়ায় মাইকিং করছেন, ঘর থেকে বের হলে মৃত্যুর দেবতার হাত থেকে রেহাই নেই। করোনার বিরুদ্ধে এভাবেই সবাইকে সতর্ক করছেন তারা।
শুধু স্পর্শ নয়, করোনা আক্রান্তের ব্যবহার করা পানির বোতল যেখানে সেখানে ফেললেও ছড়াতে পারে করোনাভাইরাস। পুরনো পানির বোতল দিয়ে একটি অটোরিকশাকে করোনাভাইরাসের মত রূপ দিয়েছেন চেন্নাইয়ের এক শিল্পী। সড়কগুলোতে মাইকিং করে সবাইকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন ঘরে থাকলেই, সুস্থ থাকবেন।
করোনাভাইরাসের আদলে হেলমেট পরে পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে মানুষকে ঘরে থাকতে বলছেন দিল্লি এবং গুজরাটের পুলিশ। রাস্তায় অকারণে কাউকে ঘোরাফেরা করতে দেখলেই তাড়া করছেন, দেখাচ্ছেন ভয়।
ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপের একটি গ্রামে রাত হলে রাস্তায় নেমে আসছে ভূতেরা। লকডাউন অমান্যকারী গ্রামবাসীদের ঘরে রাখতে এই অশরীরির অবয়ব ধারণ করেছে স্থানীয় কয়েকজন তরুণ। মরদেহের মত গায়ে সাদা কাপড় জড়িয়ে, মুখে সাদা পাউডার দিয়ে বাইরে কাউকে ঘোরাফেরা করতে দেখলেই ভয় দেখাচ্ছেন তারা। আর এভাবে গ্রামবাসীকে ঘরমুখী করতে সফলও হয়েছেন।
শারীরিক দূরত্ব বজায় না রেখে যেখানে সেখানে জমায়েত দেখলেই লাল কার্ড দেখাচ্ছেন তিউনিশিয়ার এক হ্যান্ডবল রেফারি। প্রতীকি এই উপায়ে করোনার বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করার উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।
শুধু নির্দেশনায় যখন কাজ হচ্ছে না, তখন অবাধ্য নাগরিকদের ঘরে ফেরাতে এমন সব অভিনব পদক্ষেপই নেয়া হচ্ছে বিশ্বজুড়ে। তাও যদি তারা ঘরে থাকেন!