চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডে নিহত আরও ৫ জনের পরিচয় শনাক্ত

প্রকাশঃ ২০১৯-০৩-১২ - ২১:২৬

ঢাকা অফিস : রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে আরও ৫ জনের পরিচয় শনাক্ত করেছে ফরেনসিক বিভাগ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে, সিআইডি কার্যালয়ে ফরেনসিক বিভাগের এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করে। ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ১৬ জনের পরিচয় শনাক্ত করলো সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ।

নতুন শনাক্ত হওয়া এই পাঁচজন হলেন, হাজী ইসমাইল, মোহাম্মদ ফয়সাল সারোয়ার, মোস্তফা, রেনুমা তাবাসসুম দোলা এবং মোহাম্মদ জাফর। নতুন শনাক্ত হওয়া এই পাঁচজনের মরদেহ আজ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে।

তবে, এখন পর্যন্ত দুইটি মরদেহ শনাক্ত হয়নি। তাদের প্রোফাইল তৈরি করা আছে। এই দুই মরদেহের নতুন কোনও দাবিদার থাকলে তাদের ডিএনএ’র সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে।

গেল মাসের ২০ তারিখে চকবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৬৭ জন নিহত হয়। অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৬৭ জনের পরিচয় শনাক্ত করতে সিআইডি এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক দল যৌথভাবে একটি দল গঠন করে। পরে, ২১শে ফেব্রুয়ারি তারা মৃতদেহ হতে ডিএনএ নমুনা হিসেবে রক্ত, টিস্যু ও হাড় সংগ্রহ করে। ৬৭টি মৃতদেহ থেকে এ পর্যন্ত ২৫৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

এর আগে, ডিএনএ পরীক্ষায় নিহতদের মধ্যে ১১ জনের পরিচয় শনাক্ত হবার খবর জানায় সিআইডি। ৪৮ জন দাবীদারের ডিএনএ নমুনা থেকে এ প্রোফাইল তৈরি করা হয়। ১১ জনের মধ্যে ৯ জনই পুরুষ, বাকি ২ জন নারী। দুই নারীর নাম ফাতেমা জোহরা ও নাসরিন জাহান।

এরপর আজ দ্বিতীয় ধাপে ৫টি অজ্ঞাত মৃতদেহের হাড় থেকে ডিএনএ পরীক্ষা শেষে আজ পাঁচজনের পরিচয় প্রকাশ করা হল।

প্রসঙ্গত, গেল ২০শে ফেব্রুয়ারি রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টা সড়কে ওয়াহেদ ভবনে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটে। ওয়াহেদ ভবনে রাসায়নিক দ্রব্যের গুদাম থাকায় আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে এক ভবন থেকে অন্য ভবনে। আগুনে পুড়ে যায় চকবাজারের ওই এলাকার অন্তত পাঁচটি ভবন।

৩৯টি ইউনিটের চেষ্টায় ৯ ঘন্টা পর আগুন নেভাতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। এছাড়া তিনটি হেলিকপ্টার থেকে পানি ছিটিয়ে সহায়তা করে বিমান বাহিনীও।

সেদিনের এই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে নিহত হন ৬৭ জন। পরবর্তীতে ঢাকা মিডিক্যাল কলেজের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় আরও চারজনের মৃত্যু হয়।