চট্টগ্রামের পটিয়া সদরের আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্বেও জায়গা দখলে সন্ত্রীদের মহড়া

প্রকাশঃ ২০২১-০৪-১৩ - ১৮:১৪

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের পটিয়া সদরের পোস্ট অফিস সংগ্ন এলাকায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা শর্তেও একটি ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসী চক্র জায়গা দখলে নিতে বাহিনী দিয়ে মহড়া দিচ্ছে। চক্রটির এমন কর্মকান্ডে জায়গার প্রকৃত মালিক ও স্থানীয়রা আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, উক্ত জায়গা নিয়ে সুলতান আহমদের পুত্র মো, ফোরকান গত ২০২০ সালের ২৭ জুলাই পটিয়া থানায় হরিহর ধরের পুত্র শীমুল ধর ও কমল ধরসহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। একই অভিযোগ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কাছে ভি.পি মামলা-১৭৫/৬৮-৬৯ লীজ নবায়ন না করার জন্য এবং আদালতের নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ২০২০ সালের ৩ মার্চ অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিয়ষটি এসিল্যান্ডকে তদন্ত করে রির্পোট দেয়ার নির্দেশ দেন। তদন্ত রিপোর্টটি ভূমি অফিসের দালাল ও ভূমি দস্যু চত্রের চক্রান্তে এখনো দেয়া সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে আদালতের বিচারাধিন জায়গাটির উপর পৌরসভার ড্রেন নির্মানের ঘটনায় আদালতের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। এ সুযোগে শিমুল ধর ও কমল ধর মিলে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী ভাড়া করে কয়েকদিন ধরে মহড়া দিয়ে আসছে। জায়গাটি দখলকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলা, হুমকির ঘটনায় গত ২০২০ সালে পটিয়া থানায় শিমুল কান্তি ধর ও কমল কান্তি ধরের বিরুদ্ধে ফোরকান বাদী হয়ে অভিযোগ করেন। উক্ত জায়গাটিতে সেসার্স মরিয়ম ট্রেডার্স নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও পাশে মো. ফোরকানের স্বপরিবার বসবাস করে আসছে। জায়গটি সুলতান আহমদ সওদাগর ১৯৭৪ সালে ধীরেন্দ্র লাল ও ভূবন মোহনের পুত্র বিমেলেন্দু ব্যানার্জীদের কাছ থেকে ক্রয় সূত্রে ১০শতক জায়গার মালিক হন। পরবর্তীতে সরকারি যাবতীয় কাগজ পত্র সুলতান আহমদ সওদগারের নামে রেকর্ডভুক্ত হন। এ প্রসঙ্গে শিমুল কান্তি ধরের সাথে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জায়গার মালিক সুলতান আহমদ সওদাগরের পুত্র মো. ফোরকান বলেন, জায়গাটি তারা অবৈধভাবে দীর্ঘদিন প্রায় দুইশতক জায়গা দখল করে রেখেছে, কোন কাগজ পত্র দেখাতে না পেরে সব জায়গায় হেরে যান, আইনগতভাবেও মোকাবেলা করতে না পেরে সন্ত্রাসীদের সাথে চুক্তিতে আমাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় চেষ্ঠা করেন এবং আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি, অপহরণ, মামলা প্রত্যাহারের চাপ প্রয়োগ করে আসছে। এটা নিয়ে এলাকায় যে কোন সময় বড় ধরণের সংঘর্ষের ঘটনা আশঙ্কার কথা জানান।