ইউনিক ডেস্ক : চট্টগ্রামে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। ফলে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় ট্রাফিক পুলিশের একটি মোটরবাইকে আগুন দেওয়ার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি দোকান ও গাড়ি ভাংচুর করা হয়। সংঘর্ষে অন্তত দশ পুলিশ সদস্যসহ ২৫ জন আহত হয়েছেন। বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা থেকেই সংঘর্ষের শুরু হয় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
সোমবার বিকেলে নগরীর কাজির দেউড়ি মোড় থেকে বিএনপির দলীয় কার্যালয় নসিমন ভবনে যাওয়ার সময় এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের আয়োজন করে চট্টগ্রামের বিএনপি। পরে বাড়তি ফোর্স মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আশপাশ থেকে বিএনপির ২০ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। এতে ভন্ডুল হয়ে যায় বিএনপির সমাবেশও।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্ব ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ চলছিল নসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে। এ সমাবেশে যোগ দিতে বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে নুর আহম্মদ সড়কের দলীয় কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন। মিছিলটি কাজীর দেউড়ি মোড়ে আসতেই সেখানে থাকা পুলিশের ওপর হামলা করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ফুটপাতে থাকা ট্রাফিক পুলিশের একটি মোটরবাইকে আগুন দেয় নেতাকর্মীরা। প্রথমদিকে পুলিশের সংখ্যা কম থাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলায় অন্তত দশ পুলিশ সদস্য আহত হন। পরবর্তীতে ব্যাপক সংখ্যক ফোর্স এনে পুলিশ টিআরশেল ও ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। আধ ঘণ্টার জন্য পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়, যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিকেল চারটার দিকে পুলিশ কাজীর দেউড়ির আশপাশে অভিযান শুরু করে। অভিযানে বিএনপির ২০জন নেতাকর্মীকে আটক করে। শুধু তাই নয়; জেলা পুলিশের একটি গাড়ি রেডিসন ব্লু’ র সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা সেখানেও হামলা করে। এতে এক পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়।
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বিএনপির মিছিল থেকে পুলিশের ওপর বিনা কারণে হামলা করেছে। গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছে। আমাদের অনেক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। বাড়তি ফোর্স আনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। অভিযান চলমান রয়েছে। এখন পর্যন্ত ২০ জনকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন উল্টো পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই সমাবেশ করছিলাম। পুলিশ ইচ্ছে করেই কাজির দেউড়ি মোড়ে ব্যারিকেড দিয়ে আমাদের কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে চেয়েছে। তাই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আমাদের ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।’