নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি)’র পৃথক অভিযান চালিয়ে ইয়াব-গাজাাসহ মোট ১০ জনকে আটক করেছেন। এর মধ্যে ৮ জনকে ভ্রম্যমান আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। বাকী দুই জন মাদক ব্যবসায়ী মোঃ আরমান হোসেন (২০) ও মোঃ বাহার(২৮) এর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। আটককৃতদের কাছ থেকে ৩ হাজার ৪শ পিস ইয়াবা এবং ৮শ গ্রাম গাজা উদ্ধার করা হয়। ভ্রম্যমান আদালত পরিচালনা করেন
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞ নির্বাহী মাজিস্ট্রেট নুরজাহান আক্তার সাথী। ১০ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) চট্টগ্রামে মহানগরীতে দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করেন।
চট্টগ্রাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি)’র সূত্র মতে, ১০ ডিসেম্বর দিনব্যাপী  মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মেট্রো কার্যালয়ের উপ পরিচালক মোঃ রাশেদুজ্জামান এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞ নির্বাহী মাজিস্ট্রেট নুরজাহান আক্তার সাথীর নেতৃত্বে  চট্টগ্রাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মেট্রো অঞ্চলের সকল সার্কেলের সমন্বয়ে মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৮ জন মাদক সেবী ও ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেন। এ সময় বিজ্ঞ নির্বাহী মাজিস্ট্রেট নুরজাহান আক্তার সাথী গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড ও অর্থ দন্ড প্রদান করেন।  অপরদিকে চাঁদগাঁও সার্কেল পরিদর্শক মোঃ আমিরুজ্জামান বাকলিয়া থানাধীন চর চাক্তাই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় মো: নাসির উদ্দিনের পুত্র মোঃ আরমান হোসেনকে ২ হাজার ৪শ পিস ইয়াবা সহ গ্রেফতার করে। পরিদর্শক মোঃ আমিরুজ্জামান বাদী হয়ে বাকলিয়া থানায়  মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ অনুযায়ী একটি নিয়মিত মামলা দায়ের  করেন। এছাড়া পাহাড়তলী সার্কেল পরিদর্শক এ এস এম মঈন উদ্দিন এর নেতৃত্বে  ১ হাজার পিস ইয়াবাসহ মোঃ ফজলুল হকের পুত্র মো: বাহারকে স্টেশন রোডস্থ যাত্রী ছাউনির সামনে হতে গ্রেফতার করেন। পরে কোতোয়ালি  থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।