চসিকের সেই চার ওয়ার্ডেও ভোট ২৭ জানুয়ারি

প্রকাশঃ ২০২০-১২-১৮ - ১৩:১৯

চট্টগ্রাম ব্যুরো:চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সংরক্ষিত ও সাধারণ ওয়ার্ডসহ চার ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীর মৃত্যুজনিত কারণে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৭ জানুয়ারিতেই। এরআগে গত ১৪ ডিসেম্বর স্থগিত থাকা চসিক নির্বাচনের মেয়রসহ অন্যান্য কাউন্সিলর প্রার্থীদের ভোট গ্রহণের তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তবে সেই সময় ইসি থেকে জানানো হয়েছিল, মৃত্যুজনিত কারণে শূণ্য হওয়া এসব ওয়ার্ডে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত জানানো হবে আইন মেনেই।

গতকাল ১৭ ডিসেম্বর নতুন করে এসব ওয়ার্ডে নতুন তফসিল ঘােষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ঘােষিত তফসিল অনুযায়ী এই চার ওয়ার্ডের ভােটগ্রহণও ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনের (নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখা উপ) উপসচিব মাে. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, সংরক্ষিত ৬ নম্বর ওয়ার্ড ও ৩০ নম্বর, ৩৭ নম্বর এবং ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে নতুন তফসিল ঘােষণা করা হয়েছে।

তফসিল অনুযায়ী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনােনয়নপত্র জমাদানের শেষ তারিখ ৩০ ডিসেম্বর। মনােনয়নপত্র বাছাই ৩১ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৭ জানুয়ারি এবং ভােটগ্রহণ ২৭ জানুয়ারি। ২৭ জানুয়ারি মেয়র নির্বাচনসহ পুরো সিটির ৪১ ওয়ার্ডে ইলেক্ট্রনিক ভােটিং মেশিনে (ইভিএম) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভােটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভােটগ্রহণের দিন ছিল। প্রায় ৯দিন আগে করোনা পরিস্থিতির কারণে নির্বাচন স্থগিত করেছিলেন নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর মারা গেছেন সংরক্ষিত ওয়ার্ড (১৭, ১৮ ও ১৯) কাউন্সিলর প্রার্থী সাহিদা বেগম পারভীন, সাধারণ ওয়ার্ড ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী, ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হোসেন মুরাদ ও ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন।
এই কারণে এই ওয়ার্ডগুলােতে নতুন করে তফসিল ঘােষণা করা হয়েছে। তবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে একই দিনে। এই নির্বাচনে বর্তমানে ৭ জন মেয়র প্রার্থী এবং ২৬৯ জন কাউন্সিলর (সাধারণ এবং সংরক্ষিত) প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের সাথে যুক্ত হবেন নতুন চার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরা।

এ বছরের ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে নির্ধারিত তারিখের এক সপ্তাহ আগে ভোট স্থগিত করা হয়। নির্ধারিত সময়ে ভোট করতে না পারায় অগাস্টের শুরুতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রশাসক নিয়োগ দেয় সরকার। এখন ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে ইসির।

তফসিল অনুযায়ী, গত ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটির ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। তবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে ২১ মার্চ নির্বাচন স্থগিত করা হয়। পরে চসিকে নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি খোরশেদ আলম সুজনকে ৬ মাসের জন্য প্রশাসক নিয়োগ দেয় সরকার।