চালনা কলেজ কেন্দ্রের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে পরীক্ষার্থীদের সাথে অসাদাচরন

প্রকাশঃ ২০১৮-০৪-০৩ - ১৯:০১

দাকোপ প্রতিনিধি : চলমান এইচ এস সি পরীক্ষায় দাকোপ উপজেলা সদর চালনা কলেজ কেন্দ্রে দায়িত্বরত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে পরীক্ষার্থীদের সাথে অসাদাচরন ভুল প্রশ্নপত্র প্রদানসহ হুমকি ধামকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী উদ্বিগ্ন পরীক্ষার্থীরা এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ করেছেন।
মঙ্গলবার পরীক্ষা শেষে চালনা এম এম কলেজ অধ্যক্ষ অসীম কুমার থান্দারকে সাথে নিয়ে ওই কলেজের ১২/১৪ জন পরীক্ষার্থী দাকোপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারুফুল আলমের দপ্তরে এসে তার নিকট চালনা কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রের অনিয়ম তুলে ধরেন। তারা জানায় চালনা কলেজ কেন্দ্রের ৩০১,৩০২ ও ৩০৩ নং কক্ষে দায়িত্বরত শিক্ষকরা শুরু থেকে তাদের সাথে অসাদাচরন করে আসছে। উদ্বিগ্ন পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ গতকাল মঙ্গলবার ও গতপরশু সোমবার দায়িত্বরত শিক্ষকরা পরীক্ষার্থীদের জোর করে ২০১৬ সালের স্থলে ২০১৮ সালের প্রশ্ন আবার ২০১৮ সালের স্থলে ২০১৬ সালের প্রশ্নপত্র সরবরাহ করে। ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিতে অস্বীকার করলে শিক্ষকরা বলে তোদের এই প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে হবে। এ ছাড়া জনৈক মহিলা শিক্ষক কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের সামনে টেবিলের উপর বসে পা দুলিয়ে তাদেরকে নানা অঙ্গভঙ্গিতে অশোভন মন্তব্য করে। এমনকি শিক্ষকরা তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বলে ইংরেজী পরীক্ষায় তোদের দেখে নেওয়া হবে। অভিযোগকারী শিক্ষার্থীরা সকলে চালনা এম এম কলেজের ছাত্রছাত্রী। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাৎক্ষনিক ওই কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের মোবাইলে বিষয়টি জানিয়ে ভবিষাতের জন্য শিক্ষার্থীদের আশ্বস্থ করেন। অভিযোগকারী পরীক্ষার্থীরা হল কৌশিক সাহা, আব্দুল আলিম, পিয়া খাতুন, রুমা আকতার, নিশীতা সরকার, দীপক গোলদার, তনুশ্রী মন্ডল, ইমরান হোসেন, প্রিয়া সরকার, আফরোজা খাতুনসহ আরো কয়েকজন। এ ব্যাপারে চালনা কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে কোন শিক্ষককে না পেয়ে মোবাইলে কলেজ অধ্যক্ষ অচিন্ত্য কুমার মন্ডলের সাথে যোগাযোগ করা হয়। অভিযোগের কথা শুনে তিনি প্রথমেই উত্তেজিত হয়ে বলেন“৩টি কক্ষে নয় লেখ ১০টি কক্ষেই অনিয়ম হয়েছে” তিনি বলেন কোন অনিয়ম বা অসাদাচরন হয়নি বই খুলে লিখতে দিলে অভিযোগ হতনা। ওই কক্ষের দায়িত্বরত শিক্ষকদের নাম জানতে চাইলে না দেখে বলা সম্ভব না জানিয়ে তিনি বলেন সুবর্ণা ম্যাডাম পান খেয়েছে তাতে অপরাধ কি ? উল্লেখ্য উপজেলা সদরের দু’টি কলেজ চালনা এম এম কলেজ এবং চালনা কলেজের মধ্যে দীর্ঘদিন ঠান্ডা প্রতিযোগীতার অংশ হিসেবে এ ঘটনার সৃষ্টি বলে ধারনা করা হচ্ছে।