যশোর অফিস: যশোর জেনারেল হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে ডাক্তার ও নার্সদের অবহেলায় রুপা ওরফে মিনা খাতুন (১৩) নামে এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহত রুপা যশোর সদর উপজেলার ঝুমঝুমপুর মান্দারতলা এলাকার ইনসার আলী ওরফে আতিকুর রহমানের মেয়ে। রূপা রূপদিয়ায় নানা মৃত. আহম্মেদ আলীর বাড়িতে থেকে নরেন্দ্রপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে লেখাপড়া করতো।
নিহতের পিতা ইনসার আলী সাংবাদিকদের জানান, শুক্রবার সকালে রূপার ডায়রিয়া হলে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসলে ডাক্তার মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেয়। হাসপাতালে আসলেও ডায়রিয়ার কারণে ২/৩ বার বাথরুমে যায়। তার শরীরে গন্ধ থাকার কারণে ভর্তির দুই ঘন্টার মধ্যে কোন ডাক্তার বা নার্স এসে চিকিৎসা দেয়নি। ভর্তির তিন ঘন্টার পর তার মৃত্যু হয়েছে।
রুপার মা হামিদা বেগম ও ভাই ইমরান হোসেন জানান, রূপার ভর্তির দুই তিন ঘন্টার মধ্যে কোন ডাক্তার বা নার্স যায়নি। তারা চিকিৎসা করলে রূপার মৃত্যু হতো না বলে তারা দাবি করেন।
হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডাক্তার আব্দুল্লা আল- মামুন বলেন, ‘শুক্রবার সকালে পয়জিং একজন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়। তাকে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়ে মহিরা মেডিসিন ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দি’। কিভাবে এবং কেন মারা গেল তা আমার জানার বিষয় না।
জেনারেল হাসপাতালের (ভারপ্রাপ্ত) তত্ত্বাবধায়ক আব্দুর রহিম মোড়ল জানান, ডাক্তারের অবহেলায় কোন রুগী মারা গেছে তা জানা নেই। বিষয়টি তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন।
হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডের কর্তব্যরত ইন্টার্ণ ডাক্তার ফয়সাল কবির বলেন, মাত্রাতিরিক্ত পোকামাকড় মারার ঔষুধ পান করে রূপা নামে এক রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসা সেবা দিতে কোন অবহেলা করা হয়নি।
কোতয়ালী থানার এসআই মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ডাক্তার এবং নার্সের অবহেলায় রুপা নামে একজন রুগির মৃত্যু হয়েছে। খবর শুনে আমি ঘটনাস্থলে এসেছি। প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটনের জন্য পুলিশ বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখছে।