আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কয়েকবছর ধরে চীনের সঙ্গে সীমান্তে উত্তেজনা চলছে ভারতের। ভারতীয় সীমানায় অনুপ্রবেশেরও অভিযোগ উঠেছে চীন বিরুদ্ধে। দুই পক্ষ বহুবার আলোচনার টেবিলে বসলেও সমাধান মেলেনি। এবার এসব সীমান্তে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান সুখোই-রাফায়েল মোতায়েন করতে চলেছে ভারত। এ উপলক্ষে ওই অঞ্চলে ‘প্রলয়’ ক্ষেপণাস্ত্রের মহড়া চালাবে দেশটি। চীন ভারতীয় সীমান্তে স্থাপনা নির্মাণ নিয়ে বহুবার অভিযোগ করেছে নয়াদিল্লি। অরুণাচল সীমান্তে অনৈতিক অনুপ্রবেশ, হিমালয় পার্বত্য এলাকাতে নতুন করে বিমানঘাঁটি ও সেতু তৈরির অভিযোগ উঠেছে চীনের বিরুদ্ধে। এমন অবস্থায় চীনের আক্রমণ প্রতিহত করতে উত্তর-পূর্ব সীমান্তে এসব যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হবে। দ্য ওয়ালের খবরে বলা হয়েছে, কয়েকদিনের মধ্য়ে ক্ষেপণাস্ত্রসহ এসব যুদ্ধবিমান মোতায়েনের কাজ শুরু হয়ে যাবে। সুখোই-৩০ ও রাফায়েল থেকে ছোড়া যাবে ক্ষেপণাস্ত্র। এর পরীক্ষামূলক অনুশীলনের জন্য উড়বে ভারতীয় বিমানবাহিনীর একাধিক ফাইটার জেট। খবরে বলা হয়েছে, ‘প্রলয়’ মহড়া চলার সময় এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম মোতায়েন করার কাজও শুরু হবে। ‘প্রলয়’ নামে এই স্বল্প পাল্লার ‘ভূমি থেকে ভূমি’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সীমান্তবর্তী দুর্গম প্রাকৃতিক অঞ্চলে ভারতীয় সেনার কার্যকরী অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র। এরই মধ্যে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ১২০টি ট্যাকটিকাল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কেনার অনুমোদন দিয়েছে। এরই মধ্যে এগুলো তৈরিতে কাজ চলছে। দ্য ওয়াল জানিয়েছে, প্রলয় ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ১৫০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার। এর বিশেষত্ব হল এটিকে অন্য কোনও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে খুব সহজে ধ্বংস করা যায় না। একবার লক্ষ্য়বস্তুতে নিশানা করলে এর গতি রোধ করা প্রায় অসম্ভব। এটি আকাশেই টার্গেট বদলে ফেলতে পারে। প্রলয়কে যাতে ট্র্যাক করা না যায়, তার জন্য বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। প্রলয় ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ণ সংস্থা ডিআরডিও। এটিকে আরও শক্তিশালী করে তোলা হচ্ছে। বাড়ানো হচ্ছে পাল্লা।