চৌগাছায় সাড়ে ১৩ লাখ টাকা নিয়েও নিয়োগ না দেয়ার অভিযোগ

প্রকাশঃ ২০২৩-০২-০৫ - ১২:৪৩

চৌগাছা প্রতিনিধি : যশোরের চৌগাছায় সাড়ে ১৩ লাখ টাকা নিয়েও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক (৪র্থ শ্রেণির কর্মচারি) পদে নিয়ে না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ঝাউতলা এমকেএনজি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আইনাল হক এবং বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে। চাকরি তো দেননি উল্টো টাকাও টাকা নেননি দাবি করে ভুক্তভোগী ও তার পরিবারকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন ওই প্রধান শিক্ষক এবং সভাপতি। গত ২ ফেব্রুয়ারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

লিখিত অভিযোগে মেহেদী হাসান বলেন, ‘কিছুদিন আগে উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের ঝাউতলা এমকেএনজি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রত্রিকার সার্কুলার দেখে অফিস সহায়ক হিসেবে আবেদন করি। এই সার্কুলারের আগেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আইনাল হক স্কুল সংলগ্ন বাজারে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে (কিটনাশকের দোকান) এসে প্রায়ই ওই পদে চাকুরির জন্য প্রলোভন দিতে থাকে। এক পর্যায়ে পারিবারিক, সাংসারিক ও সামাজিক জীবন ব্যবস্থার কথা চিন্তা করে প্রধান শিক্ষকের কথায় আস্বস্ত হয়ে আমার ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হতে প্রধান শিক্ষকের কাছে নগদ অর্থ প্রদান করি। (যার ভিডিও সংরক্ষিত আছে)। প্রথম অর্থ গ্রহণের পরবর্তী চার মাসের মধ্যে বিভিন্ন ধাপে প্রধান শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকের কথায় স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমানের কাছে ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করি (যার কিছু ভিডিও সংরক্ষিত আছে)।’

তিনি আরও লেখেন, ‘এই টাকা দিতে গিয়ে আার বসতভিটার জমি বিক্রি করি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গাভী গরু, মোটরসাইকেল বিক্রি করি এবং দুটি এনজিও থেকে মোটা অংকের ঋণ গ্রহণ করি। যার ভার বইতে গিয়ে আমি নি:স্ব ও রিক্ত হয়ে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির দ্বারে-দ্বারে ঘুরেছি। এমনকি আমি, আমার মা ও বড়ভাইকে নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাড়ি গিয়ে তার হাতে-পায়ে ধরি। এরপরও আমাকে চাকুরি না দিয়ে গত ২১ জানুয়ারি যশোর জেলা স্কুলে নিয়োগ বোর্ড বসিয়ে আমাকে বঞ্চিত করে অধিক অর্থের বিনিময়ে অন্য একজনকে নিয়োগ দেন। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আমার কাছ থেকে টাকা নেয়নি বলে অস্বীকার করেন এবং আমার ও আমার পরিবারকে নানা প্রকার হুমকি-ধামকি দেন।