ছাত্রলীগ নেতা রোহান হত্যা মামলার রায় পেছালো তৃতীয় বার

প্রকাশঃ ২০২৩-০২-০৮ - ১১:২৯

ইউনিক ডেস্ক : মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য সৈকত হাসান রোহান হত্যা মামলার রায় তৃতীয় দিনের মত পেছালো। পরবর্তী রায়ের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করেছে খুলনার জন নিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরো।

গত বছরের নভেম্বরে এই মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন খুলনার জন নিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাদ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক। কিন্তু ঐ দিন খুলনা আদালতের আইনজিবী মৃত্যুর কারণে শোক সভা অনুষ্ঠিত হওয়ায় রায় ঘোষণা হয়নি। ঐ দিন বিজ্ঞবিচারক এ বছরের ১৬ জানুয়ারি রায়ের তারিখ ঘোষণা করেন। ঐদিন বিচারক ছুটিতে থাকার কারণে রায়ের তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ হয়।

জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এড. আরীফ আহম্মেদ লিটন জানান, মঙ্গলবার এই মামলার ১৫ আসামির এক আসামি মো: তৌহিদ শেখ আদালতে উপস্থিত না হয়ে সময় প্রার্থনা করে আবেদন করেন আদালতে। আদালত তার আবেদনে সারা দিয়ে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি রায়ের তারিখ ঘোষণা করেছেন।

তিনি আরো জানান, এই মামলার মোট আসামি ১৫ জন। আসামিরা হলেন নগরীর পূর্ব বানিয়াখামার এলাকার দু’ভাই মিজান ওরফে দাদো মিজান শেখ (৩৮) ও মিরাজ শেখ (৩৩)। একই এলাকার ৯নং গলির শেখ জাহাংগীরের দু’ছেলে আল আমিন (৪০) ও তৌহিদ শেখ (২৮), মিস্ত্রিপাড়া খালপাড় রোডের আবুল কালামের ছেলে মুরাদ ওরফে কালা মুরাদ (৩০), আজিজ শেখের ছেলে ইকরাম ওরফে একরাম শেখ (৪৫), নজরুল ইসলাম শিকদারের ছেলে মো: ইব্রাহিম শিকদার ওরফে খবিস (২২), মৃত. হাফিজুর রহমান সরদারের ছেলে হাসানুজ্জামান সরদার ওরফে আকাশ ওরফে কালা আকাশ (২৮), মো: বাবুল মাতুব্বরের ছেলে রিয়াজুল (৩২), মৃত. হাজী আশরাফ আলীর ছেলে মো: জয়নাল আবেদীন ওরফে জনি (৩৫), শেখপাড়া বাগান বাড়ির শহীদ আবুল সড়কের সাত্তার বিশ্বাসের ছেলে তুহিন ওরফে কালা তুহিন (২৮), আহসান আহম্মেদ রোডের রুস্তুম আলীর ছেলে মো: ইব্রাহিম আলী ওরফে রাজন (২৬), মিয়াপাড়া বাগানবাড়ির মো: বেল্লাল শেখ (২২), মিয়াপাড়া পাইপের মোড়ের মো: অধব্দুর রাজ্জাক (২৯) ও রোকন উদ্দিন সড়কের মো: আবু আনসারীর ছেলে মো: শাহদাত আনসারী ওরফে ছোট (২৪)। এ পর্যন্ত এই মামলায় স্বাক্ষ্য দিয়েছেন ১২জন।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর পিটিআই মোড়ে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ছাত্রলীগ নেতা সৈকত হাসান রোহানকে। এসময় তারা রোহানের দু’হাতের কবজী, দু’পায়ের রগ কেটে মৃত ভেবে ফেলে পালিয়ে যায়। পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে খুলনা জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত পৌনে ১২টার দিকে রোহানের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর নিহতের মা রাশিদা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৮ থেকে ১০ জন আসামির নামে খুলনা থানায় মামলা দায়ের করেন।